Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Mother

সম্পত্তি লিখে দেননি, নেতাজিনগরে মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিল দুই ছেলে!

বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিগ্রহের ঘটনা ঘটেই চলেছে। অশোকনগরের পর এ বার দক্ষিণ শহরতলির নেতাজিনগরে। সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় মাকে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই ছেলের নামে।

নিগৃহীতা সাগরিকা দেবী (ছবিতে চিহ্নিত)।

নিগৃহীতা সাগরিকা দেবী (ছবিতে চিহ্নিত)।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৮ ২০:২৬
Share: Save:

বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিগ্রহের ঘটনা ঘটেই চলেছে। অশোকনগরের পর এ বার দক্ষিণ শহরতলির নেতাজিনগরে। সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় মাকে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই ছেলের নামে।

এর আগেও নেতাজিনগরের বাসিন্দা সাগরিকার পালের সঙ্গে এক বার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। তখনকার মতো পুলিশের হস্তক্ষেপে সমস্যা মিটে যায়। কিন্তু, বেশ কিছু দিন ধরেই সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন তাঁর বড় ছেলে গোপাল এবং ছোট ছেলে সুদর্শন পাল। শনিবার ফের মাকে বাড়ি থেকে বার করে দেয় বলে অভিযোগ।

বৃদ্ধার দুই মেয়েও রয়েছেন। তাঁরাই মাকে নিয়ে গিয়ে নেতাজিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কাছেই বিয়ে হয়েছে বড় মেয়ে প্রতিমা সাহার। সেখানে গিয়েই ওঠেন নিগৃহীতা সাগরিকা দেবী। পুলিশ নিয়ে গিয়ে বাড়িতে ঢোকেন তিনি। এই ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন দুই ছেলে। এর আগে অবশ্য তাঁরা পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদেরই নাকি মা তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

আরও পড়ুন: এ বার মাকে রড দিয়ে পেটাল ছেলে, থানায় গিয়ে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি

পুলিশ সূত্রে খবর, নেতাজিনগরের দোতলা বাড়ি নিয়ে এই ঝামেলা। তিনটি ঘর রয়েছে। একটি ঘরে অবিবাহিত বড়় ছেলে থাকেন। অন্য দু’টি ঘরে ছোট ছেলে এবং মা থাকেন। নীচে বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে। এই সম্পত্তি দুই ভাই মিলে ভাগাভাগি করে নিজেদের নামে লিখিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মা সেই সম্পত্তি লিখে দিতে নারাজ ছিলেন।

(কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Woman Mother harassed
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE