অসুখ ধরা পড়েছে আগেই। এ বার দাওয়াই খোঁজার পালা।
প্রায় প্রতি দিনই নির্ধারিত সময়ে মেট্রো আসছে না বলে অভিযোগ উঠছে। গত দু’দিন ধরে এ নিয়ে বারবার বৈঠকও করেন মেট্রোকর্তারা। তার পরেও ফের মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ শ্যামবাজার স্টেশনে পর পর দু’টি ট্রেন সময়ে না আসায় চূড়ান্ত ভোগান্তি হয় যাত্রীদের।
মেট্রোকর্তাদের একাংশের যুক্তি, বেশির ভাগ সাধারণ রেকের আয়ু ফুরিয়েছে। মেরামতি করে আর চলছে না। অথচ, রেল বোর্ডের খবর, নতুন রেক আসবে ২০১৭ সালের মার্চে। তবে তাঁদের দাবি, অসুখ যখন ধরা পড়ছে, তখন ওষুধের ব্যবস্থাও হবে।
কী সেই ওষুধ?
মেট্রোকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে নোয়াপাড়া থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত তিনটি ওয়াই সাইডিং (ট্রেন ঘোরানোর ব্যবস্থা) রয়েছে। তাতে বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই সময় কমানোর কাজ শুরু করেছেন ইঞ্জিনিয়ারেরা। কয়েক দিনের মধ্যেই তা শেষ হবে।
মেট্রো সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত তিন দিন ট্রেনের গোলমালের পরেই জেনারেল ম্যানেজার কিছু স্টেশনে এবং ট্রেনে দক্ষ মেকানিক রাখার কথা ঘোষণা করেছেন।
পুজোর দিনে মেকানিকের সংখ্যার পাশাপাশি বাড়ানো হবে নজরদারিও। কারশেড থেকে শুরু করে সচল অবস্থাতেও ট্রেনে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে মেট্রো রেল সূত্রে খবর।
পাশাপাশি, যাত্রীদের দীর্ঘ দিনের অভিযোগ, কিছু ঘটলে মেট্রো যাত্রীদের তা জানায় না। যদিও মেট্রোকর্তারা জানিয়েছেন, এ বার থেকে তেমন কিছু ঘটলেই সঙ্গে সঙ্গে মাইকে জানানো হবে। জেনারেল ম্যানেজারের নির্দেশে আজ, বুধবার থেকে এমন ব্যবস্থাই চালু হচ্ছে।
কিন্তু এই ওষুধেই কি রেহাই মিলবে মেট্রোযাত্রীদের?
কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, কলকাতা মেট্রো জরা রোগে আক্রান্ত। এ সব ব্যবস্থা আসলে কেমোথেরাপি। এখনও অন্তত দু’বছর। তার পরে নতুন রেক এলে যাত্রীদের যন্ত্রণার যদি কিছুটা উপশম হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy