এ যেন সবুজ নগরীর ‘বোধন’।
স্মার্ট সিটি প্রকল্প বাতিল করে এ বার ‘গ্রিন সিটি’ তৈরির পরিকল্পনা করেছে রাজ্য। তেমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজোর সময়ে বৃক্ষরোপণ করে যেন সেই প্রকল্পেরই সূচনা করতে চাইছেন নিউ টাউনের নাগরিকেরা। দুর্গা পুজোয় সমাজসেবামূলক কাজের বদলে নিউ টাউনের পুজো কমিটিগুলি এ বার অনেক বেশি উৎসাহী বৃক্ষরোপণে। দু’টি পুজো কমিটি বৃক্ষরোপণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেনকে। চেয়ারম্যান সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন।
হিডকো আধিকারিকেরা জানান, এ বার দশটি পুজো কমিটিকে হিডকো দুর্গাপুজোর অনুমতি দিয়েছে। বৈঠকের সময়ে পুজো কমিটিগুলিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল পুজোয় সমাজসেবামূলক কাজের ধরণধারণে পরিবর্তন আনতে। এমনকী পুজোয় দুঃস্থদের জামাকাপড়, কম্বল কিংবা বই-খাতা দেওয়ার বদলে বৃক্ষরোপণের অনুষ্ঠান বাধ্যতামূলক করা যায় কিনা সে দিকে ভাবনা চিন্তা করার করার কথাও বলা হয়েছিল।
হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন,‘‘পুজো কমিটিগুলি সেই প্রস্তাব সানন্দে গ্রহণ করেছিল। বন দফতরের পরামর্শ মেনে শরতে কোন গাছ লাগানো যায় তা নাগরিকদের জানানো হয়েছিল। তাঁরা সেই প্রস্তাব মেনেছেন। গ্রিন সিটিতে তো সবুজায়নের প্রয়োজন হবেই।’’ নিউ টাউনের পুজো কমিটিগুলির দাবি, যেহেতু গ্রিন সিটি প্রকল্প ঘোষণা
হওয়ার পরে এটাই প্রথম পুজো, তাই এ বার পুজোয় মোটামুটি সকলেই বৃক্ষরোপণ বাধ্যতামূলক করেছেন।
নিউ টাউনের অনিমিখা আবাসনের সম্পাদক মধুছন্দা সেনগুপ্ত বলেন,‘‘ মা দুর্গা তো অসুরবধের মাধ্যমে শুভ শক্তিকেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সবুজায়নও তো পরিবেশ দূষণের সামনে দাঁড়িয়ে এক রকম শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠার চেষ্টা। আমরা মনে করছি এই প্রয়াসও এক ধরনের বোধন।’’
নিউ টাউনের সি ই ব্লকের সম্পাদক অলোক দাস বলেন,‘‘ষষ্ঠীতে একটি পাম গাছ রোপণের মধ্যে দিয়ে পুজোর সূচনা করব। যাঁরা পুজোয় আসবেন তাঁরাও বিষয়টি জেনে আশা করি উৎসাহিত বোধ করবেন।’’
হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন নগরোন্নয়ন দফতরের সচিবও বটে। তাই বৃক্ষরোপণের প্রস্তাব শুধু নিউ টাউনকে কেন? দেবাশিসবাবু জানান, অন্যান্য পুরসভাগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসার সময় পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন,‘‘ পুজোর পরে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম গ্রিন সিটি নিয়ে পুরসভাগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy