Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ডাক্তার নেই, রোগীকে ফেরাল সরকারি হাসপাতাল

ধর্মঘটের কলকাতায় ফের রোগী-প্রত্যাখানের অভিযোগ উঠল একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজির বিরুদ্ধে মেরুদণ্ডে চোট পাওয়া এক রোগীকে ফেরত পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলার বাসিন্দা স্বপন দাস নামে এক প্রৌঢ়কে এ দিন সকালে এসএসকেএমের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয়। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁকে পরীক্ষা না করেই বিআইএন-এ রেফার করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৫ ০১:০৯
Share: Save:

ধর্মঘটের কলকাতায় ফের রোগী-প্রত্যাখানের অভিযোগ উঠল একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজির বিরুদ্ধে মেরুদণ্ডে চোট পাওয়া এক রোগীকে ফেরত পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলার বাসিন্দা স্বপন দাস নামে এক প্রৌঢ়কে এ দিন সকালে এসএসকেএমের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয়। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁকে পরীক্ষা না করেই বিআইএন-এ রেফার করেন। বিআইএন-এ পৌঁছে নিউরো-সার্জারি বিভাগের ইমার্জেন্সিতে যান তাঁরা। অভিযোগ, ধর্মঘটে ডাক্তার পাওয়া যাবে না, এই কারণ দেখিয়ে তাঁদের কোনও বেসরকারি হাসপাতালে যেতে বলা হয়। স্বপনবাবুর ছেলে শুভ্র দাস বলেন, ‘‘ধর্মঘটের দিন অনেক বেশি টাকা দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে এসেছিলাম। এমন ভোগান্তি হবে তা বুঝতে পারিনি। সাধ্যের বাইরে গিয়ে এক বেসরকারি হাসপাতালেই বাবাকে ভর্তি করেছি।’’

বিআইএন কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, ধর্মঘটের জন্য প্রত্যাখ্যান হয়নি। এক কর্তার কথায়, ‘‘নিউরো-সার্জারির ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে ২৫টা শয্যাই ভর্তি। ট্রলিতে রয়েছেন ১৫ জন। এই পরিস্থিতিতে ভর্তি নেওয়া সম্ভব ছিল না, তাই অন্যত্র যেতে বলা হয়েছে।’’ কিন্তু প্রাথমিক চিকিৎসাটুকুও কেন করা হল না, সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি।

যাদবপুরের বেসরকারি হাসপাতাল কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে অধিকাংশ চিকিৎসক বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অনুপস্থিত থাকায় রোগী-হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। ওই হাসপাতালে ভর্তি মিনতি বিশ্বাস নামে এক রোগীর পরিজনেদের অভিযোগ, তাঁরা রোগীকে বাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ধর্মঘটের দিন ডাক্তার না-আসার কারণ দেখিয়ে হাসপাতাল থেকে রোগীর ‘কেস সামারি’ দেওয়া হয়নি। বাঙুরের সুপার সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি নিজে কেপিসি কর্তৃপক্ষকে ফোন
করে মিনতিদেবীর ‘কেস সামারি’ দিতে বলি। ওঁরা মুখের উপর জানিয়ে দেন, কোনও চিকিৎসক আসেননি। আজ
কিছু দেওয়া যাবে না।’’ কেপিসি-র অধ্যক্ষ বরুণ সাহা দালালের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সব মিটে গিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE