বাইক নিয়ে পালাচ্ছে শেখ আজম হোসেন। সিসিটিভি-র ফুটেজ থেকে।
বছর দুয়েক ধরে মৌলবির বেশে একের পর এক মোটরবাইক চুরি করে এলাকায় বুক ফুলিয়ে ঘুরত দক্ষিণ শহরতলির মহিষগোট এলাকার বাসিন্দা শেখ আজম হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে খোঁজ চলছিল তার। অবশেষে সপ্তাহখানেক আগে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে সেই চোর।
পুলিশ সূত্রের খবর, লোকের চোখে ধুলো দিতেই মৌলবির সাজে ঘুরে বেড়াত ওই ব্যক্তি। বিভিন্ন মসজিদের আশপাশের এলাকা থেকে মোটরবাইক চুরি করে তা বিক্রি করে দিত বলে দাবি করছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত নভেম্বরের শেষে মহেশতলা থানার ব্যানার্জিহাট এলাকা থেকে ওমপ্রকাশ মিশ্র নামে এক ব্যক্তির মোটরবাইক চুরি হয়। মহেশতলার থানার তদন্তকারী অফিসারেরা সিসিটিভি-র ফুটেজে দেখেন, এক মৌলবি ওমপ্রকাশবাবুর মোটরবাইকে চেপে চলে যাচ্ছেন। এক তদন্তকারীর অফিসারের কথায়, সিসিটিভি-র ফুটেজ দেখে ওই মৌলবির ছবি আঁকানো হয়। তার পরেই মহেশতলা থানার সাব-ইন্সপেক্টর মানিক সমাজদারের নেতৃত্বে সাদা পোশাকের বাহিনী নজরদারি শুরু করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের এবং এলাকার বিভিন্ন মসজিদেও মৌলবির ছবি দেখানো হয়। কিন্তু কেউ শনাক্ত করতে পারছিলেন না।
তদন্তকারীদের তখনই খটকা লাগে। কোনও মৌলবি তাঁর এলাকা এবং আশপাশে পরিচিত মুখ হওয়াটাই স্বাভাবিক। অথচ তা হচ্ছিল না। এর মধ্যেই নোদাখালি থানা এলাকা থেকে একটি চোরাই মোটরবাইক উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় পিন্টু নামে এক জনকে। পিন্টুকে জেরা করে জানা যায়, এক মৌলবির থেকে কুড়ি হাজার টাকায় তিনি ওই মোটরবাইক কিনেছিলেন। পিন্টুর মাধ্যমেই ভুয়ো মৌলবীর খোঁজ পান তদন্তকারীরা। গভীর রাতে মহিষগোট এলাকায় হানা দিয়ে গ্রেফতার করা হয় ভুয়ো মৌলবিকে আজমকে।
তদন্তকারীদের কথায়, মৌলবির ছদ্মবেশে মোটরবাইক চুরি করে মোটেও অনুতপ্ত নয় আজম। তার কথায়, ওই বেশে থাকলে স্থানীয় বাসিন্দা এবং পুলিশ কেউই সন্দেহ করবে না বলেই সে নিশ্চিন্তে চুরি করত। চুরি করা মোটরবাইক পরে বিক্রিও করত সে।
তদন্তকারীদের কথায়, বাজারে আসা নতুন মডেলের মোটরবাইকের দিকে আজমের নজর ছিল বেশি। চুরি করে অর্ধেক দামে বিক্রি করে দিত। আজমকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পরে জেরায় জানা গিয়েছে, মাসে দু’টি থেকে তিনটি মোটরবাইক চুরি করত সে। কোথায় কোথায় মোটরবাইক বিক্রি করেছে, তা জানার চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy