Advertisement
১১ মে ২০২৪
Police

দু’দিনে সংক্রমিত বারো কর্মী, মানসিক চাপ বাড়ছে পুলিশের

শুক্রবার এবং শনিবার কসবা, আলিপুর থানা মিলে ১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২০ ০৩:২৭
Share: Save:

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যেমন তাঁদের চাপ বাড়ছে, তেমনি ভাবে প্রতিদিনই পুলিশবাহিনীর মধ্যে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার এবং শনিবার কসবা, আলিপুর থানা মিলে ১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের এক পুলিশকর্মীও শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

কলকাতায় বর্তমানে ২৮টি কন্টেনমেন্ট জ়োন রয়েছে। সেগুলির উপরে নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্থানীয় থানাগুলিকেই। কিন্তু একের পর এক থানার পুলিশকর্মীরা কাজ করতে গিয়ে সংক্রমতি হওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে অফিসার থেকে নিচুতলার পুলিশকর্মীদের মধ্যে। পুলিশকর্মীদের আশঙ্কা, যে ভাবে বাহিনীর মধ্যে করোনা ছড়াচ্ছে তাতে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনে সমস্যা তৈরি হবে।

লালবাজার জানিয়েছে, শনিবার বিকেল পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের ৫৪৩ জন অফিসার-কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আবার এ দিন পর্যন্ত ৪২৯ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়াও পেয়েছেন। বাকিদের চিকিৎসা চলছে। এক পুলিশকর্তা জানান, অনেকেই ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন। আক্রান্ত থেকে সুস্থতার হার অনেক বেশি। এ ছাড়া পুলিশকর্মীদের কথা মাথায় রেখেই ইডেন গার্ডেন্সের পাঁচটি ব্লকে কোয়রান্টিন কেন্দ্র করা হচ্ছে। সেখানে দুশোর বেশি পুলিশকর্মী থাকতে পারবেন।

আরও পড়ুন: শিবির করে ফ্ল্যাট, বাড়ির সমস্যা শুনবে পুরসভা​

পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার এবং শনিবার করানোয় আক্রান্ত হয়েছেন কসবা থানার সাত পুলিশকর্মী। তাঁদের মধ্যে এক জন সাব ইনস্পেক্টর, দু’জন এএসআই, দু’জন কনস্টেবল এবং এক সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন। শুক্রবার রাতেই আক্রান্তদের চার জনকে যাদবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বাকিদের শনিবার অন্য হাসপাতালে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই দিনই আলিপুর থানায় পাঁচ জন পুলিশকর্মীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে ওই রিপোর্ট এলেও শনিবার বিকেলে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। তবে লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, করোনায় আক্রান্তদের সবাইকেই হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। একইসঙ্গে অনেকে আক্রান্ত হওয়ার ফলে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। শনিবার সকাল থেকে কসবা থানা এবং ব্যারাককে জীবাণুমুক্ত করার কাজ করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতেও যত বেশি সম্ভব পুলিশকর্মীকে বিভিন্ন জায়গায় প্রয়োজন মতো মোতায়েন করা হয়েছে। তবে থানাগুলির ব্যারাকের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। একই সঙ্গে আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা পুলিশকর্মীদের হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। থানাগুলিকে এই পরিস্থিতিতে সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক পুলিশকর্মী যাতে মাস্ক, গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার নিয়ে ডিউটি করেন থানার আধিকারিকদের তা দেখতে বলা হয়েছে।

ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার জোড়াবাগান ট্র্যাফিক গার্ডের দুই সার্জেন্ট-সহ চার পুলিশকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের পরিবারের সদস্যেরাও আক্রান্ত হয়েছেন। লালবাজারের ট্র্যাফিক বিভাগের রির্জাভ অফিসারের এক পুলিশকর্মী আক্রান্ত হওয়ারও খবর মিলেছে।

অন্য দিকে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের নিশ্চিন্দা থানার এক সাব ইনস্পেক্টর গত কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। শুক্রবার লালারসের রিপোর্ট পজ়িটিভ হলে ওই অফিসারকে গোলাবাড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই অফিসারের সংস্পর্শে আসা কয়েক জন পুলিশ কর্মীও কোয়রান্টিনে রয়েছেন। স্যানিটাইজ় করা হয়েছে থানাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Police Covid 19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE