প্রতীকী ছবি।
উর্দি না-পরে থাকলে কোনও পুলিশ অফিসার ট্র্যাফিক আইনভঙ্গকারী কোনও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করতে পারবেন না। সাদা পোশাকে থাকাকালীন করা যাবে না কোনও রকম আর্থিক জরিমানাও। একটি মামলায় এমনই জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। বিধাননগরের এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি উর্দি না-পরা অবস্থায় এক চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা এবং আর্থিক জরিমানা করার অভিযোগ ওঠে। পেশায় আইনজীবী, সূর্যনীল দাশ নাম ওই ব্যক্তি বিশ্বজিৎ দাস নামে বিধাননগর (পূর্ব) থানার ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন। বিচারপতি ভট্টাচার্য সেই মামলার শুনানিতেই ওই কথা বলেন। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারকে সতর্কও করেছেন তিনি।
সূর্যনীল বৃহস্পতিবার জানান, ঘটনাটি ঘটে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে। একটি জরুরি ফোন আসায় বিধাননগরের বিকে-বিএল পার্কের কাছে গাড়ি থামিয়ে তিনি কথা বলছিলেন। ওই সময়ে থানার একটি টহলদারি গাড়ি এসে তাঁর সামনে দাঁড়ায়। সেটি থেকে সাদা পোশাকে থাকা এক ব্যক্তি নেমে এসে নিজেকে পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে সূর্যনীলকে গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে বলেন। তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্সও দেখতে চান ওই ব্যক্তি।
সূর্যনীল এ দিন জানান, তিনি ওই ব্যক্তির থেকে পুলিশের পরিচয়পত্র দেখতে চান। সঙ্গে এ-ও জানান যে, ওই ব্যক্তি পুলিশ হলেও উর্দি না-পরে থাকলে কারও থেকে লাইসেন্স চাইতে পারেন না। অভিযোগ, ওই ব্যক্তি কার্যত জোর করেই আইনজীবীর ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে নেন এবং আর্থিক জরিমানা করেন। আরও অভিযোগ, লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করেও সিজ়ার লিস্ট দেওয়া হয়নি। জরিমানার নথিতে জোর করে সই করিয়ে নেওয়া হয় সূর্যনীলকে। তখনই জরিমানার টাকা মিটিয়ে দিতে চাইলেও পুলিশ পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি তাঁকে লাইসেন্স ফেরত দেননি বলে সূর্যনীলের দাবি। উল্টে তাঁকে থানায় গিয়ে লাইসেন্স ছাড়িয়ে আনতে বলা হয়।
ওই মামলার শুনানিতে সরকারি আইনজীবী আদালতে জানান, সূর্যনীল ‘নো পার্কিং’ বিধি মানেননি। তবে, তাঁর লাইসেন্সটি বিধাননগর (পূর্ব) থানার ওসি ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি জানিয়ে দেন, ওই অফিসার বেআইনি কাজ করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy