প্রতীকী ছবি।
মোটরবাইকে চেপে সুন্দরবন পাড়ি দিয়েছিলেন বারো জন বন্ধু। বাড়ি থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে রাস্তার ধারে চা খেতে দাঁড়িয়েছিলেন দশ জন। কিন্তু স্কুটার নিয়ে এগিয়ে যান দু’জন। বাকিরা একটু পরে দেখেন রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ওই দুই যুবক। প্রথমে তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার সকালে ভাঙড়ের ঘটকপুকুরের কাছে বাসন্তী হাইওয়ের ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম দেবজিৎ সাহা (২৬) ও শ্যামল মণ্ডল (২৭)। দু’জনেই বরাহনগরের ভারতপল্লির বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই বারো জনের মধ্যে এক জনের আত্মীয় থাকেন সুন্দরবনে। সেখানেই পিকনিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। ছ’টি মোটরবাইকে দু’জন করে বসে সোমবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ রওনা দেন তাঁরা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ বাসন্তী হাইওয়ের ধারে একটি চায়ের দোকানে বাকিরা থামলেও দেবজিৎ ও শ্যামল স্কুটার নিয়ে এগিয়ে যান। কিছু ক্ষণ পরে বাকিরাও কিছুটা এগোতেই দেখেন হাইওয়ের উপরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ওই দু’জন। কিছুটা দূরে পড়ে স্কুটারটি। বন্ধুরাই স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই দু’জনকে নলমুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে দুপুরে তাঁরা মারা যান।
বরাহনগরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপঙ্কর ভট্টাচার্য জানান, স্থানীয় বাজারে মোবাইলের দোকান আছে দেবজিতের। শ্যামল অশোকগড়ে একটি দোকানে কাজ করেন। এ দিন ঘটনার খবর আসতেই ভারতপল্লিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। দেবজিতের বাবা বিশ্বরঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘ভোর রাতে বেরোল। আর ফিরল না ছেলেটা।’’ কান্নায় ভেঙে পরে শ্যামলের বাবা অমলকৃষ্ণবাবু বলেন, ‘‘ছেলেটা নেই। ভাবতেই পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy