Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

উন্নয়নের ‘ঘায়ে’ রাস্তা বেহাল সোনারপুরে

নীয়দের দাবি, দু’বছর আগে অবধি রাস্তাটি পিচেরই ছিল। তবে তার পরে আর কখনও পিচ তো দূর, ওই রাস্তায় স্টোন চিপসও দেখা যায় না।

এবড়োখেবড়ো: কামালগাজি থেকে সোনারপুরগামী রাস্তার এমনই বেহাল দশা। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল

এবড়োখেবড়ো: কামালগাজি থেকে সোনারপুরগামী রাস্তার এমনই বেহাল দশা। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল

দীক্ষা ভুঁইয়া
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৯ ০১:০৬
Share: Save:

পিচের আস্তরণ বলতে কিছু নেই। পুরো রাস্তাটাই মাটিতে ভর্তি। তাও আবার এবড়ো-খেবড়ো। হঠাৎ দেখলে কখনও রাস্তাটি পিচের ছিল কি না তা নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়।

তবে স্থানীয়দের দাবি, দু’বছর আগে অবধি রাস্তাটি পিচেরই ছিল। তবে তার পরে আর কখনও পিচ তো দূর, ওই রাস্তায় স্টোন চিপসও দেখা যায় না। অভিযোগ, রাস্তাটি খুঁড়ে জলের পাইপলাইন কিংবা নিকাশির পাইপ লাইন বসানোর কাজের পরে সেটির উপরে মাটি চাপা দিয়েই দায় সেরেছে পুরসভা। তার জেরে গত দু’বছরে ওই বেহাল রাস্তায় একাধিক দুর্ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু তাতেও টনক নড়েনি পুর প্রশাসনের। ফলে বেহাল রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে লোকজনকে। তবে অনেকে আবার রাস্তার খারাপ অবস্থার জন্য সড়ক পথ ছেড়ে লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করছেন বলেও দাবি করেছেন। এমনই অবস্থা দক্ষিণ শহরতলির রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার অন্তর্গত কামালগাছি থেকে সোনারপুর যাওয়ার রাস্তার।

স্থানীয় লোকজন জানাচ্ছেন, এমনিতেই এই রুটে অটোর দাপট বেশি। তার উপরে রাস্তা খারাপের জন্য বাসের সংখ্যাও কমে গিয়েছে। ফলে গত দু’বছরে

অনেকেই মোটরসাইকেলে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘রাস্তা খারাপের জন্য কয়েক জন দুর্ঘটনার বলিও হয়েছেন। তাই অনেকে এখন ভয়ে মোটরবাইক ছেড়ে শিয়ালদহ থেকে ট্রেন ধরেই বাড়ি ফিরছেন।’’ এমনই এক জন রাজীব রায়। তাঁর

অভিযোগ, ‘‘জন্মসূত্রে সোনারপুরের বাসিন্দা। কিন্তু কখনও এমন পরিস্থিতি হয়নি।’’

অপর এক বাসিন্দা সোনালি মণ্ডল বলেন, ‘‘পুরসভা এক বার করে রাস্তা খুঁড়ছে, একটা কাজ করছে আবার তা বুজিয়ে দিচ্ছে। আবার কয়েক মাস পরে খোঁড়াখুঁড়ি হচ্ছে।’’

রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা জানাচ্ছে, রাস্তাটি পূর্ত দফতরের। তারাই জল নিকাশির কাজ শুরু করেছিল। আর সেই কাজ করার পরে রাস্তা তৈরির কাজ করাবে পূর্ত দফতরই। তবে সেই কাজ করতে গিয়ে কিছু জলের পাইপ ফেটে যায়। সেগুলির কাজ পুরসভা করেছে।

কিন্তু জল নিকাশির কাজ করতে এত সময় গড়িয়ে যাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের তো ভোগান্তি বেড়েছে। সেটা থেকে তাঁরা কবে মুক্তি পাবেন?

পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাস বলেন, ‘‘পূর্ত দফতর আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করেই কাজ করছে। আসলে বর্তমানে সব কাজই দরপত্র ডেকে করতে হয়। তাই একটু বেশি সময় লাগছে।’’

পূর্ত দফতরের এক কর্তা জানাচ্ছেন, এলাকায় কোনও নিকাশি ব্যবস্থা ছিল না। সেটি নতুন করে তৈরি করে পাইপ বসানোর পরে ফুটপাত তৈরি হবে। তার পরেই করা হবে রাস্তার কাজ। তারই মধ্যে কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ) জলের পাইপলাইনের কাজ করছে। কিছু বিদ্যুতের কাজও করবে রাজ্য বিদ্যুৎ-বন্টন সংস্থা। ফলে একাধিক দফতরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হচ্ছে বলেই দেরি হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Road MunicipalWork Development
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE