—প্রতীকী ছবি।
চুরি করতে এসে চকলেট খেল চোরের দল। পছন্দ না হওয়ায় আধখাওয়া চকলেট ফেলেও দিল মেঝেতে। তার পরে নিয়ে গেল দামি পারফিউম, ডিওডোরেন্ট, পুরুষদের হাতঘড়ি, ছোটদের রিমোট নিয়ন্ত্রিত খেলনা। এ ভাবেই পাশাপাশি তিনটি দোকান ও দোকান সংলগ্ন একটি ফ্ল্যাটে মোট ১০টি তালা ভেঙে চুরি করল দুষ্কৃতীরা।
রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া ময়দান সংলগ্ন চিন্তামণি দে রোডে। গত মাসেই ওই এলাকায় চোর সন্দেহে এক যুবককে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছিল। কয়েক দিনের ব্যবধানে ফের আর এক যুবককে ছেলেধরা সন্দেহে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন বাসিন্দারা। তার পরেও সেই একই জায়গায় পরপর চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার এলাকার সব দোকান অর্ধ দিবস বন্ধ থাকে। দুপুরে দোকান বন্ধ করে চলে গিয়েছিলেন মালিকেরা। সোমবার সকালে দোকান খুলতে এসে তাঁরা দেখেন, তিনটি দোকানের সমস্ত তালা ভাঙা। চুরি গিয়েছে একাধিক জিনিসপত্র। আধখাওয়া চকলেট পড়ে আছে দোকানের ভিতরে। পাশের যে বহুতলের তিনতলা ফ্ল্যাটে তালা ভেঙে চোর ঢুকেছিল, সেই ফ্ল্যাটের সামনেও পড়ে রয়েছে আধখাওয়া চকলেট।
পুলিশ জানিয়েছে, চিন্তামণি দে রোডের পাশে হওয়া শীতলা পুজোর বিসর্জন ছিল রবিবার রাতে। তাদের অনুমান, সেই সুযোগই কাজে লাগিয়েছে দুষ্কৃতীরা। বিসর্জনের বাজনার আওয়াজে ঢাকা পড়ে গিয়েছে তালা ভাঙার শব্দ। একটি ঘড়ির দোকানের মালিক বীণাদেবী সাহেওয়াল জানান, তাঁর দোকান থেকে চোরেরা নিয়ে গিয়েছে শুধু পুরুষদের হাতঘড়ি। রেখে গিয়েছে মহিলা ও বাচ্চাদের হাতঘড়িগুলি। পাশের দু’টি দোকান থেকে চুরি গিয়েছে খেলনা, ক্রিম, ডিওডোরেন্ট, পারফিউম-সহ নগদ প্রায় পাঁচ হাজার টাকা। তবে পাশের ফ্ল্যাটে চুরি করার মতো কিছু না পেয়ে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে দুষ্কৃতীদের। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, তিনটি দোকান থেকে নগদ টাকা ও জিনিস মিলিয়ে প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকার জিনিস চুরি গিয়েছে।
হাওড়া সিটি পুলিশের এসিপি (দক্ষিণ) গুলাম সারওয়ার বলেন, ‘‘একটা দুষ্কৃতী-দল কাজ করছে বলে আমাদের সন্দেহ। আমরা সেই দলটি চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। ঘনবসতিপূর্ণ ওই এলাকায় কী ভাবে চুরি হল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy