সরব: পরিবেশ বাঁচানোর দাবিতে পথে পড়ুয়ারা। শুক্রবার, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। নিজস্ব চিত্র
কলকাতা লন্ডন হওয়ার পথে কত পা এগিয়েছে, সে প্রশ্ন অবান্তর। কিন্তু প্রতিবাদের সুর ধরে কলকাতার স্কুলপড়ুয়ারা মিলে গেল লন্ডনের সঙ্গে!
জলবায়ু বদল রুখতে শুক্রবার স্কুল কামাই করে প্রতিবাদ জানাতে পথে নেমেছিল ৯৮টি দেশের কয়ের হাজার পড়ুয়া। সেই প্রতিবাদের মিছিলে শামিল হয়েছিল এই শহরের এক দল খুদেও। দুপুরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পরিবেশ রক্ষার দাবি নিয়ে মিছিল করে তারা। পরে একটি মাঠে বসে কী দাবি নিয়ে ভবিষ্যতে এই আন্দোলনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তার পরিকল্পনাও করে। তাদের সঙ্গে সেই সব কাজে জুড়ে রইলেন এক ব্রিটিশ নারী, কেট ম্যাক। এ দিনের অনুষ্ঠানের শেষে কেট বলছিলেন, ‘‘পরিবেশ রক্ষায় লন্ডনে যে উৎসাহ দেখেছি, কলকাতা তার থেকে পিছিয়ে নেই।’’
এই আন্দোলনের নাম ‘#ফ্রাইডেজ়ফরফিউচার’। যার সূচনা গত বছরের অগস্টে সুইডিশ কিশোরী গ্রেটা থানবার্গের হাত ধরে। পরিবেশ বাঁচাতে প্রতি শুক্রবার গ্রেটা সে দেশের পার্লামেন্টের বাইরে ধর্না দিত। সেই আন্দোলনই ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছে দুনিয়ার নানা প্রান্তে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি লন্ডনেও বহু স্কুলপড়ুয়া একই কারণ দেখিয়ে এক দিন স্কুলে যায়নি। এ দিন ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, উগান্ডা, তাইল্যান্ড-সহ পৃথিবীর নানা প্রান্তের দেশগুলির বিভিন্ন শহর যুক্ত হয়েছিল পরিবেশ বাঁচানোর উদ্দেশে। সেই কাজে যুক্তচ কলকাতার পড়ুয়াদের দেখে উৎসাহিত হয়েছেন কেট। তিনি বলেন, ‘‘জলবায়ু ও পরিবেশ যে ভাবে বদলাচ্ছে, তাতে ছোটদেরই সব থেকে বেশি সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। এই বদলের কুপ্রভাব ওদেরই বেশি সইতে হবে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিন প্রতিবাদে শামিল হওয়া যাদবপুরের সম্মিলনী বালিকা বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সঞ্চিতা সাহা, সুদেষ্ণা দাসের মতো অনেকেই বলছিল, শুধু আলোচনা করলেই হবে না। প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো, গাছ লাগানোর মতো বিষয়ে নজর দিতে হবে। দক্ষিণ কলকাতার আর একটি স্কুলের পড়ুয়া এ দিনের আলোচনায় এসে বলল, বাকি বন্ধুদেরও পরের বার এই ধরনের প্রতিবাদে নিয়ে আসতে চায় সে।
ওদের উদ্যোগে এই আন্দোলন আরও বড় হয় কি না, সেটাই এ বার দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy