ফাইল চিত্র।
সন্তানের কৈশোরের সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক সমস্যা নিয়ে সন্তানদের সঙ্গেই আলোচনা করতে চান না অনেক অভিভাবক। এর প্রয়োজনীয়তা শনিবার সায়েন্স সিটির সেমিনার হলে উপস্থিত ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকদের কাছে তুলে ধরলেন চিকিৎসকেরা।
অন্যতম উদ্যোক্তা চিকিৎসক সৌরভ কোলে জানান, ১২ থেকে ১৯ বছর বয়সে কিশোর-কিশোরীরা নানা ধরনের সমস্যার শিকার হন। অভিভাবকেরা অনেক সময়ে তা খেয়াল করেন না। তার মধ্যে মোটা হওয়া, কম ঘুম, পুষ্টির অভাব-সহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে, তেমনই রয়েছে হতাশা, যৌন হেনস্থার মতো ঘটনাও। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিনের চিকিৎসক পার্থ কর্মকারের কথায়, ‘‘হতাশাগ্রস্ত কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা বেড়েছে। যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটলে অভিভাবকেরা তা চেপে যান। মোবাইলের ব্যবহার, ফাস্ট ফুডের কুফল নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করতেই এই আয়োজন।’’
এ দিনের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী এবং তাঁদের অভিভাবকদের পাশাপাশি হাজির ছিলেন চিকিৎসক পড়ুয়ারাও। ডায়াবিটিস নিয়ে আর জি করের মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক অপূর্ব মুখোপাধ্যায় জানান, গলায়, বাহুর নীচে কালো, বেগুনি রঙের দাগ মানে ‘ইনসুলিন রেজিট্যান্সে’র পরিচয়।
যৌন নিগ্রহ নিয়ে চিকিৎসক সোমনাথ দাসের বক্তব্য শুনে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন এপিসি কলেজের ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের অধ্যাপক স্বপ্নাবিজয়ন মুখোপাধ্যায়। এসএসকেএমের এন্ডোক্রিনোলজির বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক শুভঙ্কর চৌধুরী ব্যাখ্যা করেন, কেন সাড়ে ন’ঘণ্টা ঘুম জরুরি। যা শুনে আক্ষেপের সুরে এক ছাত্রী জানান, সাড়ে পাঁচ-ছ’ঘণ্টার বেশি ঘুমের সুযোগই হয় না! মনস্তত্ত্ববিদ হিরণ্ময় সাহার থেকে হতাশার প্রভাব সংক্রান্ত ব্যাখ্যা শুনে এক কিশোর মাইক হাতে প্রশ্ন করে, ‘‘বাবা-মা না বুঝলে কী ভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য চিকিৎসকের কাছে যেতে পারি?’’
এই ধরনের আলোচনা আরও বিস্তৃত হওয়া প্রয়োজন বলে জানান আর এক উদ্যোক্তা শ্রেয়া চৌধুরী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy