Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
বরো-৯

মমতা-ববির বরো, সেটাই তৃণমূলের বাড়তি ভরসা

হরিশ মুখার্জি রোড ধরে উত্তর থেকে দক্ষিণে যদুবাবুর বাজর ক্রসিং পেরোলেই এক খণ্ড ‘উজ্জ্বল’ কলকাতা। দু’পাশে সার সার ত্রিফলা বাতি, ফুটপাথে গাছগুলির বাঁধানো বেদি। ল্যাম্পপোস্টও সব ঝকঝকে রং করা। একটু এগিয়ে হরিশ পার্ক যেন সাজানো বাগান। সব মিলিয়ে কলকাতা এখানে অনেকটাই ‘তিলোত্তমা’।

অনুপ চট্টোপাধ্যায় ও কৌশিক ঘোষ
শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৪৭
Share: Save:

হরিশ মুখার্জি রোড ধরে উত্তর থেকে দক্ষিণে যদুবাবুর বাজর ক্রসিং পেরোলেই এক খণ্ড ‘উজ্জ্বল’ কলকাতা। দু’পাশে সার সার ত্রিফলা বাতি, ফুটপাথে গাছগুলির বাঁধানো বেদি। ল্যাম্পপোস্টও সব ঝকঝকে রং করা। একটু এগিয়ে হরিশ পার্ক যেন সাজানো বাগান। সব মিলিয়ে কলকাতা এখানে অনেকটাই ‘তিলোত্তমা’।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রায় নিয়মিত যাতায়াতের পথ এটা। আসতে-যেতে পথের দু’পাশে তাঁর কড়া নজর। মঝেমাঝে গর্ব করে বলেন, ‘‘আমাদের পাড়াটা এত সুন্দর সাজানো হয়েছে, এটাই সারা শহরের মডেল হওয়া উচিত।’’

কলকাতাকে লন্ডন বানানোর পথে ভবানীপুরের এই তল্লাট যেন ‘অ্যাডভান্স পাইলট’। এখান থেকে জিতে বিধানসভায় গিয়েছেন মমতা, তাঁর বাড়ির ওয়ার্ড তো বটেই। আশপাশের সব ওয়ার্ডে তাঁর বাছাই করা ঘনিষ্ঠদের সমারোহ।

তবু গত লোকসভা ভোটে মোদী হাওয়ায় একটু নড়ে গিয়েছিল ভবানীপুর। নিজের কেন্দ্রে সামান্য হলেও পিছিয়ে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এগিয়েছিল বিজেপি। এই পুরভোটকে তারই যোগ্য জবাব হিসেবে তুলে ধরে ২০১৬-র নির্বাচনের রাস্তা কণ্টকহীন করতে তাই ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল।

শুধু মমতাই নন, ৯ নম্বর বরোয় আছেন খোদ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সারদা-কাণ্ডে জেলে গেলেও রয়েছে মন্ত্রী মদন মিত্রের মসনদ।

এই বরোর খেলা তাই জমজমাট। তবে সেই খেলা এক তরফা হবে কি না, বিরোধ-বিতর্ক তা নিয়েই।

দিন কয়েক আগে হরিশ মুখার্জি রোডে একটি কমিউনিটি সেন্টারের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরসভার একটি কমিউনিটি ভবনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকার সাহস সচরাচর কেউ দেখান না। তবুও তিনি সেখানে এসেছিলেন ও নিজেই সে প্রসঙ্গ তুলে বলেছিলেন, ‘‘এ ধরনের অনুষ্ঠানে আমি বড় একটা যাই না। কিন্তু এটা তো আমার পাড়ায়। তাই ভাইয়ের বৌ ও পাড়ার কয়েক জন মহিলার অনুরোধ ঠেকাতে পারিনি। নবান্ন যাওয়ার পথে আসব বলেছিলাম।’’

ভোট তো সে পাড়াতেও। তাই পাড়ার উন্নয়নের কাজে আলাদা নজর থাকতেই পারে। কলকাতা পুরসভার ৯ নম্বর বরোর ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। সেই ছোটবেলা থেকেই। মুখ্যমন্ত্রী হয়েও সেখানেই থেকে গিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রীর ওয়ার্ডে এ বারও তৃণমূলের প্রার্থী রতন মালাকার। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে ওই ওয়ার্ডে বিজেপি মাথাচাড়া দেওয়ায় অস্বস্তি কতটা জানতে চাইলে বলেন, ‘‘দেশ শাসনের ক্ষেত্রে জনমত কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তার সঙ্গে পুরভোট বা পুর-পরিষেবার কোনও সম্পর্ক নেই।’’ বিজেপি-র প্রার্থী সাগর চৌধুরী আবার লোকসভা ভোটের নিরিখের লড়াইয়ে শান দিচ্ছেন। বললেন, ‘‘ভোট শান্তিতে হলে ফল ভাল হবে।’’ এমনিতে মুখ্যামন্ত্রীর বাড়ির এলাকা, তাই কাউন্সিলরের থেকেও পরিষেবা নিয়ে সজাগ পুর প্রশাসনও। পান থেকে চুন খসলেই ছুটে যান পুর কমিশনার। তা সত্ত্বেও ওয়ার্ডের কয়েকটি এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে বাসিন্দাদের। কালীঘাট এলাকার বাসিন্দা সিদ্ধার্থ দাসের কথায়, ‘‘অনেক উন্নতিই হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এলাকায় থেকে এখনও গভীর নলকূপের জল খেতে হয়, এটাই খারাপ লাগে।’’ যা স্বীকারও করে নিয়েছেন বিদায়ী কাউন্সিলর রতনবাবু। বললেন, ‘‘দীর্ঘ কাল থেকে কয়েকটি নলকূপ রয়ে গিয়েছে। তা সরানোর পরিকল্পনা হয়েছে।’’ এখানে বাম প্রার্থী স্বপ্না বন্দ্যোপাধ্যায় পিছিয়ে থাকলেও লড়াইয়ে আছেন।

তবে মুখ্যমন্ত্রীর এলাকায় থেকে কেন এখনও জুটছে গভীর নলকূপের জল, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে তা নিয়েও। যেমন ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে এত দিন কাউন্সিলর ছিলেন মমতার বহু দিনের প্রবীণ সঙ্গী অনিল মুখোপাধ্যায়। তাঁর ওয়ার্ডে সর্বত্র পরিস্রুত জল মেলে না বলে অভিযোগ তুলেছেন এ বারের বিজেপি প্রার্থী দীপিকা নন্দী। তাঁর অভিযোগ, ‘‘কাঁসারিপাড়া, শাঁখারিপাড়ায় এখনও পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে।’’ পুর-পরিষেবায় অনেক ঘাটতি আছে বলেই বক্তব্য তাঁর। বর্তমানে অনিলবাবু শারীরিক ভাবে সুস্থ নন। এ বার ওই ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় প্রার্থী করা হয়েছে তৃণমূল নেতা বাবলু সিংহের স্ত্রী পিয়ালী সিংহকে। অনিলবাবুর অসুস্থতায় বাবলুই ওই ওয়ার্ড দেখাশোনা করেন। পিয়ালী এক কথায় বলেন, ‘‘ওয়ার্ডে অনেক কাজ করেছেন অনিলদা। সেটা বহাল রাখাই আমার প্রধান কাজ।’’ জেল কোয়ার্টার্স এলাকার বাসিন্দা সুবোধ দে অবশ্য পানীয় জলের সমস্যার কথা শোনালেন। বললেন, ‘‘পুরসভার জলের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয়।’’ বাবলুর কথায়, ‘‘একটা অঞ্চলে পরিস্রুত পানীয় জলের কিছু সমস্যা রয়েছে। কালীঘাট পাম্পিং স্টেশনের সঙ্গে পাইপ জোড়া হয়েছে। শুধু চালু হতে বাকি।’’ এলাকায় একটা গভীর নলকূপও রয়েছে। যা সরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানাচ্ছে তৃণমূল।

৭৪ নম্বর ওয়ার্ডও মহিলা সংরক্ষিত। সেখানে আবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী পারমিতা দত্তর প্রচারের মূল লক্ষ সেই সাজানো-গোছানো পথঘাটেই। পরিষেবার প্রশ্নে তাঁর বক্তব্য, ‘‘উন্নয়নের নামে কসমেটিক সার্জারি হয়েছে। সবই উপরে উপরে।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘ওয়ার্ডের অবাঙালি পল্লিতে বিশেষ কিছু লোককে তৃণমূলে ভোট দেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে।’’ যা শুনে তৃণমূল প্রার্থী পেশায় আইনজীবী দেবলীনা বিশ্বাসের জবাব, ‘‘সারা বছর পড়াশোনা না করে পরীক্ষায় বসলে টুকতে হয়। বিজেপির অবস্থা তেমনই। সন্ত্রাস সন্ত্রাস বলে ভোটের বাজার গরম করতে চাইছে। মানুষ ওঁদের মিথ্যাচারের জবাব দেবে।’’ এখানে বাম প্রার্থী মমতা মণ্ডল বা কংগ্রেসের মৌসুমী ঘোষ পিছিয়ে রয়েছেন।

পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ওয়ার্ড ৮২। দীর্ঘকাল ধরে পুরসভার কাউন্সিলর থাকলেও এ বার পুরভোটে দাঁড়াননি তিনি। এক সময়ে গুঞ্জন উঠেছিল ফিরহাদের বদলে তাঁর স্ত্রী রুবি প্রার্থী হতে পারেন। হননি। মন্ত্রীর পাড়ার ওয়ার্ডে এ বার লড়ছেন ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিকিৎসক প্রণব বিশ্বাস। কেমন বুঝছেন তিনি? বললেন, ‘‘এটা তো পুরমন্ত্রীর ওয়ার্ড। পরিষেবায় কোনও ফাঁক নেই। পানীয় জল, জঞ্জাল অপসারণ, আলো, নিকাশি সব ব্যবস্থাই ভাল।’’ এখানে বাম প্রার্থী সিপিআই-এর পারমিতা দাশগুপ্ত কিছুটা পরিচিত হলেও বিজেপির প্রার্থী সত্যজিৎ চৌধুরীকে এলাকার অনেকেই আগে চিনতেন না বলে জানান। তবে বিজেপি প্রার্থীর প্রশ্ন, ‘‘বিজেপি না থাকলে লোকসভায় ওই ওয়ার্ডে সাড়ে ৫ হাজার ভোট পেল কী ভাবে?’’

এ বরোয় লড়াইয়ে রয়েছেন তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরাও। ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে মন্ত্রী ববি হাকিম ও মদন মিত্রের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা সিরাজুল করিম (বাবলু) বিজেপির প্রার্থী। দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের কারণ হিসেবে সিরাজুল সরাসরি তৃণমূলের দলীয় কোন্দলকেই দায়ী করেছেন। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘ববিদা-মদনদার হাত ধরেই এই অঞ্চলে তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছি। আমি মনোনয়ন পেলাম না। কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে নিজের প্রতিপত্তি খাটিয়ে দিব্যি মনোনয়ন পেলেন রাম পেয়ারি রাম, হেমা রামেরা। এতদিন যাঁদের হয়ে লড়েছি, তাঁদের সঙ্গে একদলে থাকতে পারলাম না।’’ এই ওয়ার্ডে এ বারে তৃণমূলের প্রার্থী অরবিন্দ সিংহ। তিনি অবশ্য বলেন, ‘‘দলীয় কোন্দল কিছু নেই। এই ওয়ার্ড এখন সিপিএমের। কাজেও ঘাটতি রয়েছে। সুতরাং পুর-পরিষেবার নিরিখেই এই ভোট হবে।’’ এখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, জঞ্জাল অপসারণের সমস্যাই এখানে বেশি। তবে কিছু কিছু জায়গায় পানীয় জল সরবরাহ এবং নিকাশির সমাধান হয়নি। স্থানীয় সিপিএম কাউন্সিলর তথা সিপিএমের প্রার্থী বিলকিস বেগম বলেন, ‘‘পানীয় জলের সমস্যা অনেকটাই মেটানো গিয়েছে। কাজ হয়েছে নিকাশিরও।’’

৮০ নম্বরে এ বার তৃণমূলের টিকিটে হেমা রাম। ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর। গত পুর-নির্বাচনে কংগ্রেসের আসনে জিতে পরে তণমূলে যোগ দেন। তারাতলার বিস্তীর্ণ অংশ এই ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। হেমা রামকে বেগ দিতে নির্দল হয়ে লড়ছেন ‘ববি ঘনিষ্ঠ’ আনোয়ার খান। বাবলু করিমের মতো তিনিও ক্ষুদ্ধ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বরাবরই রাম পেয়ারি রাম এবং হেমা রামের বিরোধীতা করে এসেছি। বন্দর এলাকায় তাঁরা পরিবারতন্ত্র কায়েম করছেন অনেক দিন ধরে। এর অবসান চাই।’’ যদিও হেমা রাম এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অন্য দিকে, এই অঞ্চলের কিছু বাসিন্দার অভিযোগ, পুর-পরিষেবার কিছুই এখানে নেই। রাস্তাঘাট, নিকাশি, জল সরবরাহ এবং আলোর অভাব রয়েছে। এখানকার বিজেপি প্রার্থী এরশাদ আহমেদ সৈয়দ বলেন, ‘‘ভোট ভাগাভাগিতেই আমি এগিয়ে আছি।’’ আর কংগ্রেস প্রার্থী অবধেশ কুমার চৌধুরী বলেন, ‘‘ এই ওয়ার্ডে কংগ্রেসের ভোট অটুট রয়েছে। সেটাই ভরসা’’

ভূকৈলাস মোড় সংলগ্ন ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাম পেয়ারি রাম নিজেই। তিনি বলেন, ‘‘টিকিট নিয়ে তৃণমূলের একাংশের মধ্যে বিক্ষোভ থাকতে পারে। কিন্তু তা নিয়ে ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না।’’এলাকার এক বাসিন্দা কপিল জায়সবাল বলেন, ‘‘এখানে নিকাশি, জল সরবরাহ এবং রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ।’’ রামবাবুর জবাব, ‘‘বন্দর এলাকায় রাস্তাঘাট এবং জঞ্জাল অপসারণ মূলত বন্দরের দায়িত্বে রয়েছে। তা সত্ত্বেও পুরসভা এখানে নিকাশি-সহ অনেক কাজ করে।’’ বিজেপি প্রার্থী কমলেশ বাল্মীকি বলেন, ‘‘পরিবারতন্ত্র তো আছেই। মানুষ এর পরিবর্তন চায়।’’

৭৬ নম্বর ওয়ার্ডে ফের প্রার্থী তৃণমূল কাউন্সিলর ষষ্ঠী দাস। এলাকাটি খিদিরপুরের পুরনো অঞ্চল। লড়াই মূলত বামেদের সঙ্গেই। সিপিএমের প্রার্থী মনোরমা রায়। রামকমল স্ট্রিটের বাসিন্দা শিবু ভাদুড়ি বলেন, ‘‘পানীয় জলের সমস্যা আছে।’’ কাউন্সিলর অবশ্য বলেন, ‘‘পানীয় জলের সমস্যা অনেকটাই কমেছে। ওয়াটগঞ্জ পাম্পিং স্টেশন থেকে জল সরবরাহ ছাড়াও গঙ্গা থেকে জল তোলার জন্য নতুন একটি জেটি তৈরির কথা হয়েছে।’’ মনোরমা বলেন, ‘‘পুর-পরিষেবাকে ভর করেই এখানে ভোটে লড়ছি।’’ বিজেপি-র রবীন্দ্রনাথ দাস বলেন, ‘‘লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছি।’’

মোমিনপুর এলাকায় পুরসভার ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী নিজামুদ্দিন শামস। গত বার ৭৭ ওয়ার্ড থেকে ফরওয়ার্ড ব্লকের টিকিটে জিতে পরে দলবদল করেন বাম আমলের প্রাক্তন মন্ত্রী কলিমুদ্দিন শামসের পুত্র। মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় এ বার ৭৮-এ। ফরওয়ার্ড ব্লকের দুর্গ বলে পরিচিত ৭৭ এবং ৭৮ ওয়ার্ড। এ বার নিজামুদ্দিনের বিরুদ্ধে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী মহম্মদ নৌসদ। তাঁর মতে, ‘‘দলের সঙ্গে বেইমানি করেছে নিজামুদ্দিন। মানুষ এর জবাব দেবে।’’ যদিও নিজামের ধারণা, তাঁর জয় প্রায় নিশ্চিত। দুই পক্ষের লড়াইয়ে আশা দেখতে শুরু করেছে বিজেপি।
বিজেপি প্রার্থী কৈলাস তামোলি বলেন, ‘‘মানুষ পরিবর্তন চায়। সেই ভরসাতেই আছি।’’

৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ বারের ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী ৭৮ নম্বরের কাউন্সিলর শামিমা রেহান খান। তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের পরভিন ইসলাহি। পরভিনের বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল বোর্ড ভাল কাজ করেছে। তাই আমরা ভোট পাব।’’ শামিমাও বলেন, ‘‘সবাই জানেন কী কাজ করেছি। না জেতার কারণ নেই।’’ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই অঞ্চলে বিজেপি তেমন ছাপ ফেলতে পারেনি। বিজেপি প্রার্থী বেবি যশমিন বলেন, ‘‘সংখ্যালঘু অঞ্চলে বিজেপি ভোট পাবে না, এমন ধারণা ঠিক নয়।’’ তবে ৭৭ এবং ৭৮ ওয়ার্ডে তৃণমূলকে বেগ পেতে হবে বলে মনে করেন স্থানীয়েরা। যদিও জেতার আশা দেখছে শামস পরিবারও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE