সেন্ট জেভিয়ার্সের সমাবর্তনে সুরঞ্জন দাস। —নিজস্ব চিত্র
পড়াতেন ইতিহাস। পরে হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। সেখান থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যান উপাচার্য হয়ে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের ডিফিল সুরঞ্জন দাস বুধবার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে জানিয়ে দিলেন, বর্তমান পদ থেকে অবসরের পরে তিনি ওই কলেজে ইতিহাস পড়াবেন বিনা পারিশ্রমিকে।
সমাবর্তনে সুরঞ্জনবাবুকে সেন্ট জেভিয়ার্সের সর্বোচ্চ সম্মান নিহিল আল্ট্রা পুরস্কার দেওয়া হয়। এই প্রথম জেভিয়ার্সের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন, এমন কাউকে এই সম্মান দেওয়া হল। অনুষ্ঠানে সুরঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘এখানে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু হলে বিনামূল্যে পড়াতে আসব।’’ উচ্চশিক্ষায় জোর দিয়ে তিনি জানান, স্বাধীনতার পরে সাত দশকেও এ দেশে জিডিপি (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট)-র এক শতাংশও শিক্ষা খাতে ব্যয় করা হয় না। এই ছবিটা পাল্টানো দরকার। সুরঞ্জনবাবুর বিশ্বাস, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজই দেশকে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার দিশা দেখাতে পারবে। ভাল ও উচ্চশিক্ষা শুধু এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ না-রেখে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ ব্যাপারে জেভিয়ার্স অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। তাদের রাঘবপুর ক্যাম্পাস এই দায়িত্ব খুব ভাল ভাবে পালন করছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, কয়েক দিন আগে উপাচার্য-অধ্যক্ষদের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জেভিয়ার্সের রাঘবপুর ক্যাম্পাসের প্রশংসা করেন।
জেভিয়ার্সের অধ্যক্ষ ডোমিনিক স্যাভিও জানান, এই কলেজে অনলাইনে নতুন নতুন পাঠ্যক্রম চালু হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা কলেজের ওয়াইফাই ব্যবহার করে স্মার্ট লাইব্রেরির বিপুল সংখ্যক বই পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। যে-তিন পড়ুয়া লাইব্রেরিতে সব থেকে বেশি সময় ব্যয় করেছিলেন, তাঁদের এ দিন পুরস্কৃত করা হয়। দীক্ষান্ত ভাষণ দেন কলকাতা বিশ্বাবদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) দীপককুমার কর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy