প্রতীকী ছবি।
চিংড়িঘাটা উড়ালপুলের কাঠামোয় দুর্বলতা ধরা পড়ার জেরে ওই উড়ালপুলে যান চলাচলের গতি নিয়ন্ত্রণের পথে হাঁটল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি পুলিশের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে এ কথা বলা হয়েছে।
পুলিশের নির্দেশিকা অনুযায়ী, চিংড়িঘাটা উড়ালপুলের উপর দিয়ে যেতে হলে এখন থেকে গাড়ির গতি ৩০ কিলোমিটারের বেশি রাখা যাবে না। মোটরবাইক এবং ছোট গাড়িগুলিকে এই গতিসীমা মেনে চলতে হবে। চিংড়িঘাটার ওই একমুখী উড়ালপুলটি বাইপাস থেকে নিকো পার্ক হয়ে সল্টলেকে ঢোকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। অনেক দিন আগেই এই উড়ালপুলটি দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিছু দিন আগে কেএমডিএ এবং কলকাতা পুলিশ ওই উড়ালপুল দিয়ে বড় গাড়ি চলাচলের উপরে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। বসানো হয়েছিল হাইট বার। এ বার মোটরবাইক এবং ছোট গাড়িও নিষেধের আওতায় এল। কেএমডিএ-র এক কর্তা বলেন, ‘‘এখন আমরা ওই উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছি। সেই কারণে উড়ালপুল ব্যবহারকারী গাড়িগুলির গতি নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পুলিশ এই ব্যাপারে সহযোগিতা করছে।’’
কিন্তু এই ব্যবস্থা কত দিনের জন্য?
কেএমডিএ সূত্রের খবর, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দিনক্ষণ এখনই বলা সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞেরা বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে সেতুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। তাঁরা ছাড়পত্র দিলে তবেই সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাম আমলে চিংড়িঘাটার উড়ালপুলটি চালু হয়েছিল। মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পরে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যের সেতু এবং উড়ালপুলগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই পর্বেই চিংড়িঘাটা উড়ালপুলের কিছু দুর্বলতা ধরা পড়ে। তার পরে উড়ালপুলটি দিয়ে বড় গাড়ির চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন। সম্প্রতি উল্টোডাঙা উড়ালপুলে চিড় ধরা পড়ার পরে ফের শহরের সেতুগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শুরু হয়। কয়েক দিন আগে শিয়ালদহ উড়ালপুল বন্ধ রেখে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল। তিন দিন বন্ধ রেখে অরবিন্দ সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করেই চিংড়িঘাটা উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন বিশেষজ্ঞেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy