প্রতীকী ছবি।
যৌন হেনস্থার অভিযোগে ধৃত যুবকের জামিন পাওয়ার ঘটনায় তদন্তকারী আধিকারিকের ভূমিকাকেই দুষছেন সরকারি আইনজীবী। এরই পাশাপাশি, যে প্রক্রিয়ায় ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাতেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারক।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত আটটা নাগাদ ট্যাংরা থানা এলাকার বাসিন্দা, বছর বাইশের বিকি দাস এক প্রতিবেশী তরুণীর বাড়ি ঢুকে তাঁর যৌন হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। ওই তরুণীর মা সেই রাতেই ট্যাংরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই অভিযোগ পাওয়ার পরেই ট্যাংরা থানার তরফে অভিযুক্তের বাড়িতে নোটিস (৪১এ, সিআরপিসি) পাঠিয়ে তাকে তিন দিনের মধ্যে থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, নোটিস দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিকিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার ধৃতকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তের আইনজীবী মহম্মদ সাজিদ বিচারকের উদ্দেশে বলেন, তাঁর মক্কেলকে নোটিস পাঠিয়ে তিন দিনের মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তার আধ ঘণ্টার মধ্যেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করে জামিনের আবেদন জানান তিনি। এই ঘটনার কথা শুনে অসন্তোষ প্রকাশ করেন শিয়ালদহ আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারক শুভদীপ রায়।
এ দিন ট্যাংরা থানার তদন্তকারী আধিকারিক বিচারককে জানান, অভিযুক্তকে নোটিস পাঠানোর পরে অভিযোগকারিণীর তরফে ফের থানায় এসে জানানো হয়, অভিযুক্ত যুবক তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়েছে। তবে থানায় তা নিয়ে পৃথক কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
তদন্তকারী আধিকারিকের পুরো বক্তব্য শুনে বিচারক অসন্তোষ প্রকাশ করে অভিযুক্তকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন। এই মামলার সরকারি আইনজীবী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘তদন্তকারী আধিকারিকের ভুলেই অভিযুক্ত জামিন পেয়ে গেল।
নোটিস পাঠানোর পরে জেনারেল ডায়েরি (জিডি) ছাড়াই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করার পদ্ধতিতে ভুল ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy