দূষণ: হাওড়ায় বাস থেকে বেরোচ্ছে কালো ধোঁয়া। নিজস্ব চিত্র
শহরের বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার উৎস কী, সে সম্পর্কে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরির কাজ প্রায় শেষের মুখে। মাসখানেকের মধ্যে সেই রিপোর্ট রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের হাতে জমা পড়তে চলেছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। রিপোর্ট হাতে পেলেই বায়ুদূষণ রোধের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি করা যাবে বলে মনে করছেন পরিবেশবিজ্ঞানীদের একাংশ।
প্রসঙ্গত, ভাসমান ধূলিকণার উৎস কী কী, ইতিমধ্যেই সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে ‘ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ (নিরি)-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নিরি-র তরফে একাধিক অন্তর্বর্তী রিপোর্টও পর্ষদের কাছে জমা পড়েছে। মাসখানেকের মধ্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া যাবে বলে আশা করছেন নিরি-র আধিকারিকদের একাংশ। সে ক্ষেত্রে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার উৎস কী, সেই পুরো চিত্রই পরিষ্কার ফুটে উঠবে।
পরিবেশবিজ্ঞানীদের একাংশের বক্তব্য, শহরের বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা (পিএম ১০) এবং অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার (পিএম ২.৫) পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার ক্ষতিকর প্রভাব কতটা, কী ভাবে
প্রতিনিয়ত বাতাসে মেশা ‘বিষ’ স্বাস্থ্যের উপরে প্রভাব ফেলছে, সে নিয়ে ইতিমধ্যে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কিন্তু বায়ুদূষণ নিয়ে এই শোরগোলের মধ্যেই রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, আগে কোথায় কত পরিমাণ দূষণ হচ্ছে, তা জানতে হবে। তা হলে দূষণ কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সে সম্পর্কেও ঠিক রূপরেখা তৈরি করা যাবে। সেই মতোই নিরিকে দায়িত্ব দেয় তারা। প্রসঙ্গত, বায়ুদূষণ রোধে রাজ্য কী কী পদক্ষেপ করতে চলেছে সে সম্পর্কে মাস্টার প্ল্যান ইতিমধ্যেই জাতীয় পরিবেশ আদালতের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে বলে পর্ষদ সূত্রের খবর।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
নিরি সূত্রের খবর, কলকাতায় বায়ুদূষণের উৎস সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের কাজ কত দূর এগিয়েছে, নির্দিষ্ট সময় অন্তর তা পর্ষদকে জানানো হয়েছে। এ বার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া পালা। তবে নির্দিষ্ট কোনও উৎস নয়, বায়ুদূষণের সম্ভাব্য যতগুলি উৎস রয়েছে সব ধরেই সমীক্ষা করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন সংস্থার কর্তাদের একাংশ। সেখানে রাস্তার পাশে খাবারের দোকান থেকে দূষণের প্রসঙ্গ যেমন রয়েছে, তেমনই আছে পথের ধুলো, নির্মাণের দূষণ বা জ্বালানির প্রসঙ্গ। নিরি-র এক বিজ্ঞানীর কথায়, ‘‘বায়ুদূষণ ও তার উৎস সংক্রান্ত একাধিক রিপোর্ট ইতিমধ্যেই আমরা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে দিয়েছি। সেখানে ধূলিকণার উৎস কী, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছি। চূড়ান্ত রিপোর্টও দিয়ে দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy