প্রতীকী ছবি।
ফোনে ‘বন্ধুত্ব স্থাপন করে আয়ের সুযোগ’, এমন মেসেজ দেখেই যোগাযোগ করেছিলেন এক কলেজছাত্র। নির্দেশ মতো মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে নিজের নাম রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন পরেও আয়ের সুযোগ না আসায় ফের ওই নম্বরে যোগাযোগ করেন তিনি। অভিযোগ, ফোনে যোগাযোগ করা হলে উল্টো দিক থেকে শুরু হয় হুমকি। বলা হয়, আরও টাকা না দিলে তাঁর পরিবারকে বলা হবে তিনি বিভিন্ন দুষ্কর্ম করেছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, এমন অভিজ্ঞতার পরেই মঙ্গলবার এক বেসরকারি কলেজের ওই ছাত্র যোগাযোগ করেন কালীঘাট থানায়। সেখানেই অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় অভিযোগ। পুলিশ জানায়, অভিযোগের তদন্তে নেমে মঙ্গলবারই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রতারণা চক্রের তিন মহিলা সদস্যকে। বরাহনগরের একটি আবাসন থেকে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় বারো লক্ষ টাকা। সরকারি কৌঁসুলি সৌরীন ঘোষাল জানান, ধৃত তিন অভিযুক্তদের নাম কাকলি দেবরায় ওরফে অহনা, যূথিকা পাল এবং লিনাশ্রী চক্রবর্তী। তাদের বুধবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ৫ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রাথমিক তদন্তের পরে তদন্তকারীদের দাবি, গত কয়েক মাস ধরে ধৃতেরা কর্পোরেট কায়দায় ওই প্রতারণা চক্র খুলে ব্যবসা ফেঁদেছিল। তবে টাকা আদায়ের জন্য নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করত না তারা। কোনও পরিচিতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সব নথি আদায় করে ওই চক্র চালাত ধৃতেরা। ওই ছাত্রকে যে অ্যাকাউন্টে টাকা দিতে বলা হয়েছিল, সেটি ছিল বরাহনগরের এক হকারের।
তদন্তকারীরা জানান, প্রথমে বিভিন্ন নম্বরে ফোন ও মেসেজ পাঠিয়ে বন্ধুত্ব স্থাপন করে আয়ের টোপ দিত ধৃতেরা। ফোন করলে ওই মহিলারা বলত, ১০-১৫ হাজার টাকা নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে জমা দিতে। এক তদন্তকারী জানান, এর পরে যোগাযোগ বন্ধ করে দিত অভিযুক্তেরা। আয়ের সুযোগ না পেয়ে গ্রাহক ফোন করলে বলা হত, আপনি মহিলা সংক্রান্ত অবৈধ ব্যবসায় জড়িত। মোটা টাকা না দিলে পরিজনেদের জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত। পুলিশের দাবি, প্রতারকেরা আগেই গ্রাহকের পরিবার সম্পর্কে জেনে রাখত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy