হেল্থ-অ্যাপের উদ্বোধনে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার, কলকাতা পুরসভায়।- নিজস্ব চিত্র।
ভাইরাল জ্বর আর ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মধ্যে পার্থক্য কী ভাবে বুঝবেন? কীভাবেই বা তার মোকাবিলা করবেন?
অনেকেই এ সব বিষয়ে সচেতন নয়। সে কারণেই ধুম জ্বর নিয়ে ডাক্তারের কাছে যখন রোগী পৌঁছন, তখন আর চিকিৎসকের কিছুই করার থাকে না। শুরুর দিকে রোগের লক্ষণ ধরতে পারলে অনেক ক্ষেত্রেই মৃত্যুকে রোখা সম্ভব বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা।তাই এ বার মশাবাহিত রোগের বিরুদ্ধে ‘লড়াই’-এ কলকাতা পুরসভা আনল একটি ‘হেল্থ অ্যাপ’।
বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার প্রধান কার্যালয়ে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এই অ্যাপের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, “মশাবাহিত রোগ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য মিলবে এই অ্যাপে। কলকাতা পুরসভার ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে কোথায় পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে, কোথায় বরো অফিস, তার পথ নির্দেশ রয়েছে। এটা একটি কার্যকারী অ্যাপ।”
দেখুন ভিডিয়ো
কিন্তু বিরোধীদের পাল্টা প্রশ্ন, ঘটা করে অ্যাপ তো চালু হল, মশাবাহিত রোগ আটকাতে পুরসভাকে ‘ভার্চুয়াল’ জগতের উপরে ভরসা করে থাকলে চলবে তো? তাদের মতে, পুরসভাকেও আরও সক্রিয় হতে হবে। পথে নামতেই হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়েও সচেতনা বাড়াতে হবে। রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। পুরসভা নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে তথ্য গোপন করছে। অ্যাপ চালু করলেই সব সমস্যার সমাধান হয় মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন- ডেঙ্গির পর পিংলায় খোঁজ ম্যালেরিয়া আক্রান্তের
আরও পড়ুন- মশাকে বন্ধ্যা করলেই ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া নির্মূল, দাবি বাঙালি বিজ্ঞানীর
পুরসভা সূত্রে খবর, এই অ্যাপটি একটি বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে। বাংলা, ইংরাজি, হিন্দি এবং উর্দু ভাষায় ব্যবহার করা যাবে। মশাবাহিত রোগ ছাড়াও ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ-সহ বিভিন্ন রোগের বিষয়েও জানা যাবে।এদিন অ্যাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেয়র পারিষদ(স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ, মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার, কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়-সহ অনেকেই।আমন্ত্রিত হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গায়ক, পরিচালক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।
ওই অ্যাপে মশাবাহিত রোগ কীভাবে আটকানো যায়, কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়তারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পুরসভার বরো অফিস, স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুগল ম্যাপের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। এই অ্যাপের মধ্যেই আরও একটি সাপোর্টিং অ্যাপ রয়েছে। তাতে বিভিন্ন হাসপাতালের ঠিকানাও দেওয়া রয়েছে। মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষের বক্তব্য, “এটি এই সময়ের জন্য একটি উপযুক্ত অ্যাপ। এর আগে ভারতের কোনও পুরসভা মশাবাহিত রোগের জন্য এই ধরনের অ্যাপ চালু করেনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy