প্রতীকী ছবি।
এলাকার মাঠে নেশা ও জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগে কয়েক জন যুবককে পাকড়াও করেছিল পুলিশ। কিন্তু কে বা কারা আসরের খবর পুলিশকে পাঠাল, তা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল ওই যুবকেরা। মাঠ সংলগ্ন বাড়ির লোকেরাই পুলিশকে খবর দিয়েছেন, এই সন্দেহে তাঁদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল এলাকার কয়েক জন যুবকের বিরুদ্ধে।
হামলায় ইটের ঘায়ে মাথা ফাটল বাড়ির এক যুবকের, মারধর করা হল প্রৌঢ় সদস্যকেও। ওই বাড়িতে টিউশনি পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীদেরও হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বুধবার রাতে বালির নিশ্চিন্দা থানার বামুনডাঙার জয়পুর বিল এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, এর পর থেকেই এলাকা ছাড়া অভিযুক্তেরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, জাতীয় সড়কের পাশেই ওই জয়পুর বিল এলাকা। শিয়ালদহ-ডানকুনি শাখার রেল লাইন থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে মাঠ। অভিযোগ, সন্ধ্যা নামলেই সেখানে স্থানীয় এবং কয়েক জন বহিরাগত যুবক বসাচ্ছিল নেশা ও জুয়ার আসর। সেই সময় মাঠ দিয়ে কেউ গেলে তাঁদের মারধরও করছিল ওই যুবকেরা। খবর পেয়ে দিন পাঁচেক আগে নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ তিন-চারজনকে পাকড়াও করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ছাড়া পেয়ে ওই যুবকেরা খোঁজ শুরু করেন, কে বা কারা পুলিশকে খবর পাঠিয়েছিল। পেশায় পুরোহিত গৌতম সামন্তের বাড়ি ওই মাঠের পাশেই। অভিযোগ, ঘটনার দিন তাঁর বাড়ির সদস্যদের হুমকি দেয় ওই যুবকেরা। রাতে ৬-৭ জন যুবক মত্ত অবস্থায় বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়ি লক্ষ্য করে ওই যুবকদের ছোড়া ইটে আহত হন গৌতমবাবুর মেজ ছেলে কুণাল। বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কুণালের মাথায় চারটি সেলাই করতে হয়। গৌতমবাবু বলেন, ‘‘ওদের বারবার বলি, পুলিশকে কিছু জানাইনি। কিন্তু ওরা বিশ্বাস করছিল না। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আমাকেও ফেলে মারল।’’
মারধরের প্রতিবাদ করায় হেনস্থা করা হয় তাঁর এক আত্মীয় পাপন সর্দারকেও। পাপন এ দিন বলেন, ‘‘কুণালের দাদা কৌস্তভ বাড়িতেই টিউশন করেন। তাঁর এক ছাত্রকে ওই দিন মাঠে আটকে রেখে দিয়েছিল ওই যুবকেরা।’’ ঘটনার সময় বেশ কিছু পড়ুয়ার অভিভাবকও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদেরই কয়েক জনের অভিযোগ, সন্ধ্যা নামলেই ওই মাঠ দিয়ে যাতায়াত করা যায় না। মহিলাদেরও কটূক্তি করা হয়। এ দিনের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় গেলে অভিযুক্তেরা চম্পট দেয়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy