জল জমেছে সায়েন্স সিটির সামনে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক ও সুমন বল্লভ
সকালের দিকে জোয়ার থাকায় লকগেট খোলা সম্ভব হয়নি। আর তার ফলেই বুধবার
রাত ও বৃহস্পতিবার সকালের বৃষ্টিতে জল জমে গেল শহরের বেশ কিছু এলাকায়। জোয়ারের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে বেলার দিকে বেশ কিছু এলাকা থেকে জল নামলেও মহাত্মা গাঁধী রোডের একাংশ,
মোমিনপুর এবং ইএম বাইপাস সংলগ্ন তপসিয়ায় দুপুর পর্যন্ত জল দাঁড়িয়ে থাকে। জল জমে যায় ওই সমস্ত এলাকার অলিগলিতেও। ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি এবং আমহার্স্ট স্ট্রিটের একাংশেও সকালের বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে যায়। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতালের কাছে বেলগাছিয়া রোড এবং মন্মথ দত্ত রোডেও জমেছিল জল। তবে বেলার দিকে সেই জল নেমে যায়।
কলকাতা পুরসভার নিকাশি দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, এ দিন সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এক ঘণ্টায় শহরে প্রায় ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সব জায়গায় জল দাঁড়ায়নি। যে সমস্ত এলাকার নিকাশি নালার জলপ্রবাহ গঙ্গার জোয়ার-ভাটার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হয়, সেখানেই জল জমে যায়। কারণ, সকালে জোয়ার থাকায় সব ক’টি লকগেটই বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিছু জায়গায় অবশ্য পলি জমে নিকাশি নালার নাব্যতা কমে যাওয়ার কারণেও জল জমেছে।
কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা নিকাশি দফতরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তারক সিংহ বলেন, ‘‘বুধবার রাত থেকেই বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হয়েছে শহরে। তবে জল তেমন জমেনি। জোয়ারের কারণে কিছু এলাকা থেকে জল বেরোতে পারেনি। উত্তর কলকাতার ঠনঠনিয়া ও মুক্তারামবাবু স্ট্রিট ছাড়াও দক্ষিণ কলকাতার মোমিনপুর এবং বাইপাস সংলগ্ন মিলন মেলার কাছে নিকাশির লাইনে কাজ চলছে।’’ তবে এ দিন দক্ষিণ কলকাতায় বৃষ্টির পরিমাণ কম হওয়ায় জল সে ভাবে জমেনি বলে পুরসভার দাবি।
পুর নিকাশি দফতর সূত্রের খবর, এ দিন সকালের এক ঘণ্টায় উত্তরের উল্টোডাঙা, পামারবাজার, বীরপাড়া, বেলগাছিয়া ও ঠনঠনিয়ায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৬৪, ৩০, ৫০, ৩৬ ও ৩০ মিলিমিটার। ধাপা, বালিগঞ্জ ও কালীঘাটে বৃষ্টি হয়েছে যথাক্রমে ২৩, ২৫ এবং ১০ মিলিমিটার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy