Advertisement
০৫ মে ২০২৪

সহবাস, কুকথায় অভিযুক্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। ওই রাতে এক মহিলা কিছু স্ক্রিনশট-সহ ফেসবুকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পোস্ট করেন। মহিলার বক্তব্য, তাঁর এক আত্মীয়াকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে কুকথা বলেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৯ ০২:১০
Share: Save:

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষক, এই মর্মে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক মহিলা। এর আগে বুধবার ফেসবুকে আর এক মহিলা অভিযোগ করেন, ওই শিক্ষক তাঁর এক আত্মীয়াকে অত্যন্ত অশালীন প্রস্তাব দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে উপাচার্য বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী যা করার করা হবে। বিযয়টি ইন্টারনাল কমপ্লেন্টস কমিটিতে (আইসিসি) পাঠিয়েছি।’’ তবে বিশ্ববিদ্যালয় মহলের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের বিষয় আইসিসি কতটা করতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অভিযোগকারিণী এ দিন জানান, বিষয়টি গত চার বছর ধরে চলছে। সম্প্রতি ওই শিক্ষক তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেছেন।

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। ওই রাতে এক মহিলা কিছু স্ক্রিনশট-সহ ফেসবুকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পোস্ট করেন। মহিলার বক্তব্য, তাঁর এক আত্মীয়াকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে কুকথা বলেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক। সেখানেই আরও কয়েক জন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ করেন।

ফেসবুকে করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিক্ষকের বক্তব্য, মাস দেড়-দুই আগে তিনি গ্যারাজে গাড়ি রাখার সময়ে তাঁর মোবাইলটি বাইরে পড়ে যায়। পরের দিন তিনি ফোনটি খুঁজে পান। মাঝের ওই সময়ে কেউ তাঁর ফোন নিয়ে কিছু করেছিল কি না, তিনি বুঝতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ে হরিদেবপুর থানায় জেনারেল ডায়েরি করেছেন তিনি। অন্য দিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ অস্বীকার করে ওই শিক্ষক বলেন, ‘‘মহিলার কথা সত্যি নয়। ওঁর মানসিক সমস্যা রয়েছে।’’ এই বিষয়ে অভিযোগকারিণী বলেন, ‘‘আমার কাছে সব প্রমাণ রয়েছে। মানসিক রোগী বলে আমায় ঠেকিয়ে রাখা যাবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE