প্রতীকী ছবি
এক মহিলার মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল শাসনে। সেই খুনের ২৫ দিন পরে, বুধবার হাওড়ার ডোমজুড় থেকে
গ্রেফতার করা হয়েছিল ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আব্দুল নইম মোল্লাকে। বৃহস্পতিবার তাকে শাসনে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার সময়ে স্থানীয় চোলপুর মাছের ভেড়ি থেকে উদ্ধার হল মহিলার কাটা মাথাটি। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আব্দুলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই মহিলার। কিন্তু তিনি
আব্দুলকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় সে তাঁকে গলা কেটে খুন করে।’’ বুধবার বারাসত আদালতে তোলা হলে নইমকে দশ দিনের পুলিশি হেফাজত দিয়েছিলেন বিচারক। এই খুনে তার সঙ্গে আর কেউ জড়িত ছিল কি না, তা জানার জন্য ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
গত ৩১ জানুয়ারি শাসনের একটি ভেড়ি থেকে উদ্ধার হয় হাড়োয়ার বাসিন্দা, বছর তেইশের ওই মহিলার মাথা কাটা দেহ। সাত দিন পরে পরিবারের লোকজন দেহটি শনাক্ত করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ মোবাইলের কল লিস্টের সূত্র ধরে নইমকে গ্রেফতার করে।
নিহত তরুণীর বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছিলেন, ৩১ তারিখ ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলবেন বলে বেরিয়েছিলেন তাঁর মেয়ে। তার পরে আর বাড়ি ফেরেননি। হাড়োয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁরা। ওই ব্যক্তির অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।
পুলিশও জানিয়েছে, মৃতার শরীরে এবং ময়না-তদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে বুধবার শাসন ও হাড়োয়া থানার পুলিশ ডোমজুড় থেকে নইমকে ধরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy