Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বাসের ব্রেক সারাতে গিয়ে পিষে মৃত্যু কর্মীর

বৃহস্পতিবার রাতে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বেলঘরিয়া ডিপোয়।

শোকাহত: দিলীপের (ইনসেটে) মৃত্যুর খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছেন পরিবারের লোকেরা। শুক্রবার। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়

শোকাহত: দিলীপের (ইনসেটে) মৃত্যুর খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছেন পরিবারের লোকেরা। শুক্রবার। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৮ ০২:২০
Share: Save:

রাতে ডিপোয় বাসের ব্রেক মেরামতির কাজ করছিলেন দুই কর্মী। এক জন ছিলেন বাসের নীচে। আচমকাই বাসটি গড়িয়ে যাওয়ায় চাকায় পিষে যায় ওই কর্মীর পা ও মাথা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার রাতে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বেলঘরিয়া ডিপোয়। মৃতের নাম দিলীপ দে (৪৭)। নদিয়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থার কর্মী ছিলেন। ওই সংস্থাটি বেলঘরিয়া ডিপোয় চুক্তির ভিত্তিতে সরকারি বাসের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ দেখভাল করে।

দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত সওয়া ১০টা নাগাদ দিলীপ এবং তাঁর এক সহকর্মী বাসের ব্রেক মেরামতির কাজ করছিলেন। দিলীপ ছিলেন বাসের নীচে। আচমকাই বাসটি গড়িয়ে যায়। চাকায় পিষে যায় দিলীপের পা ও মাথা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। ঘটনার পরে সংস্থাটির কর্মীদের একাংশ ডিপোয় বিক্ষোভ দেখান।

দিলীপের পরিবার জানিয়েছে, প্রতি দিন বিকেল ৩টে নাগাদ কৃষ্ণনগর থেকে রওনা হয়ে কাজে আসতেন তিনি। রাত পর্যন্ত কাজ করে বাড়ি ফিরতেন। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ছিল দিলীপের সংসার। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছোট মেয়ের বয়স ১১। মৃতের ভাইঝি প্রিয়াঙ্কা মজুমদার বলেন, ‘‘জানি না এই ক্ষতি কী ভাবে সামলে ওঠা যাবে।’’

দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগমের তরফে বিষয়টি দুর্ঘটনা বলেই জানানো হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, সরকারি নিয়ম মেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bus Smashed Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE