Advertisement
০৪ অক্টোবর ২০২৩
Frida Kahlo

তাঁর ছবির মতোই বর্ণময় ডায়েরি

কেবল অভিজ্ঞতায় নয়, সজ্জাতেও এই ডায়েরির অভিনবত্ব তুলনাহীন। একে স্কেচবুক বললেও বোধ হয় খুব ভুল হয় না।

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:৪৭
Share: Save:

মধ্য ত্রিশ পার করে ডায়েরি লিখতে শুরু করেছিলেন মেক্সিকান শিল্পী ফ্রিদা কাহলো। তাঁর জীবনের বেশির ভাগটাই বিষাদ, আনন্দ সামান্যই। তবু অজস্র রঙে ভরিয়ে তুলতেন ক্যানভাস। হয়তো শারীরিক অক্ষমতা আর মানসিক অস্থিরতাকে জয় করার তীব্র ইচ্ছেতেই। ৪৭ বছর বয়সে প্রয়াত এই শিল্পী আত্মপ্রতিকৃতি এঁকেছিলেন পঞ্চান্নটি। বলতেন, যার সঙ্গে চেনাজানা আর বোঝাপড়া অন্তহীন, তেমন ভাল বিষয়বস্তু আর কোথায় পাবেন? সেই বাস্তবকে ছুঁয়ে ছিল তাঁর ডায়েরিও। লেখা-ছবি-আঁকিবুকিতে সাজানো এই ব্যক্তিগত রোজনামচায় তিনি ক্রমাগত গাঁথতেন দৈনন্দিন অনুভূতিমালা। কেবল অভিজ্ঞতায় নয়, সজ্জাতেও এই ডায়েরির অভিনবত্ব তুলনাহীন। একে স্কেচবুক বললেও বোধ হয় খুব ভুল হয় না। এর বর্ণময় পৃষ্ঠাগুলি— গদ্যে, পদ্যে, রেখায়, রঙে— যেন ক্যানভাস।

ফ্রিদা কাহ্‌লোর ডায়ারি
ভাষান্তর: ঈশানী রায়চৌধুরী
৪৫০.০০
ধানসিড়ি

এই ডায়েরি পড়লে মনে হয় শিল্পীর ঘরের ভিতরে একটি বার উঁকি দেওয়া গেল। আধো অন্ধকারেও বর্ণময়, বিচিত্র মানুষটিকে সামান্য স্পর্শ করা গেল। আর ঈশানী রায়চৌধুরীর ভাষান্তরের কলমে এই রস এমন ভাবে আস্বাদনের সুযোগ পেলেন বাঙালি পাঠক। তাঁর দক্ষ অনুবাদে ফ্রিদার গদ্য-পদ্য বাংলা ভাষাতেও অনায়াস ছন্দে ধরা দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE