উধাও: এই দেওয়ালের ফাঁক গলে ঢুকেছিল চোর। ইনসেটে, ভাঙা সিন্দুক। — ছবি: সুজিত দুয়ারি
দোকানের পিছনের দিকের দেওয়ালের কয়েকটি ইট খুলে ভিতরে ঢুকে সোনা ও রূপোর গয়না নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা।
শুক্রবার সকালে দোকান মালিক দোকান খুলে ভিতরে গিয়ে চুরির ঘটনা দেখতে পান। ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়া শহরে যশোর রোড সংলগ্ন এলাকায়। দোকানটি হাবড়া থানার কয়েকশো মিটারের মধ্যে। স্বাভাবিক ভাবেই থানার এত কাছে একটি দোকানে চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীরা শঙ্কিত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ৯টা নাগাদ দোকান মালিক দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরেছিলেন। বৃহস্পতিবার দোকান বন্ধ ছিল। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দোকান খুলে ভিতরে গিয়ে মালিক সত্যজিৎ সরকার। দেখেন লকার ভাঙা। আলমারি খোলা। দোকানের পিছনের দিকে যেখানে গয়না তৈরি হয়, সেই ঘরের দেওয়ালের একাংশের ইট খোলা রয়েছে।
দোকান কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে আসেন পুরপ্রধান নীলিমেশ দাস। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ জানিয়েছে, রাতে শহর এলাকায় টহল আরও বাড়ানো হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে কয়েকটি দুষ্কৃতী দলকে শনাক্ত করা হয়েছে।’’
পুলিশের অনুমান, দোকানের পিছনের দেওয়ালের ইট খুলে সেখান থেকে দুষ্কৃতীরা দোকানে ঢুকেছিল। তবে দেওয়ালের ওই ফাঁকা জায়গা দিয়ে কোনও মোটা মানুষের গলা অসম্ভব। সে ক্ষেত্রে হয় রোগা-পাতলা চেহারার কাউকে ঢোকানো হয়েছিল। অথবা কোন অল্পবয়সীকে এই কাজে লাগানো হয়।
দেওয়ালের পিছনের জঙ্গলের মধ্যে শাবল হাতুড়ি পড়ে ছিল। যে দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে, সেই দোকানে সিসি ক্যামেরা না থাকলেও আশেপাশের এলাকায় রাস্তায় সর্বত্র সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের প্রশ্ন, অপরাধ কমাতে শহর জুড়ে এত সিসি ক্যামেরা বসানোর পরেও যদি চুরির ঘটনা ঘটে, তা হলে লাভটা কী হল! এক ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘সিসি ক্যামেরা বসার পরে আমরা রাতে দোকান বন্ধ করে অনেক নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরছিলাম। কিন্তু এখন তো ফের আগের মতোই ভয়ে ভয়ে থাকতে হবে দেখছি।’’ দোকান মালিক সত্যজিৎও জানালেন, এলাকায় সিসি ক্যামেরা থাকায় তিনিও নিশ্চিন্ত ছিলেন।
কিছু দিন আগে পুলিশের তরফে এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করে দোকানে সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরও সব দোকানে তা বসেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অতীতে কয়েক বছর শহরে সোনার দোকানে ডাকাতি ও চুরির ঘটনা ঘটেছে বেশ কিছু। ভর সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে দুষ্কৃতীরা সোনার দোকানে হামলা চালিয়ে ডাকাতি করেছে। মাঝে কিছু দিন বন্ধ থাকার পরে ফের হাবড়া থানা এলাকায় চুরির ঘটনা বাড়ছে। দিন কয়েক আগে স্থানীয় জানাপুল এলাকায় একটি ফাঁকা বাড়িতে চুরি হয়েছিল। — ছবি: সুজিত দুয়ারি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy