জখম জান্নাতুল মোল্লা।
সাপে কামড়ানো ছেলেকে প্রতিবেশীর বাইকে করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন বাবা। পথে ম্যাটাডোরের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে ওই শিশু। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছেলের। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে জীবনতলার গাববুনিয়া মোড়ের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জাইদুল মোল্লা (১০)। বাড়ি গাববুনিয়া ঘাটাল পাড়া।
বুধবার কলকাতার ডানলপ মোড়ের কাছে সবেদাবাগান বাসস্টপে বেপরোয়া ট্রেলারের ধাক্কায় মোটরবাইক থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হয় দুই শিশুর। এক শিশু আশঙ্কাজনক অবস্থায় পিজি হাসপাতালে ভর্তি। কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। এ দিনও কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। এ দিকে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর কথা বারবার বলছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে বিনা হেলমেটে মোটরবাইক চালানো এবং নিয়ম ভেঙে বেপরোয়া গাড়ি চালানো রুখতে সারা রাজ্যে লাগাতার প্রচার চালাচ্ছে পুলিশও। তা সত্ত্বেও মানুষ সচেতন হচ্ছেন না।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে বাড়িতেই সাপে কামড়ায় জাইদুলকে। তার বাবা জান্নাতুল মোল্লা প্রতিবেশী সাহাদাত শেখের মোটরবাইকে ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। বাইক চালাচ্ছিলেন সাহাদাত। গাববুনিয়া মোড়ের কাছে উল্টো দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি ম্যাটাডোর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরাসরি বাইকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জাইদুলের। গুরুতর জখম হন জান্নাতুল ও সাহাদাত। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করে।
এ দিকে উত্তেজিত জনতা ঘাতক ম্যাটাডোরটিকে ধরে ফেলে। চালক পালিয়ে গেলেও খালাসি ধরা পড়ে। উত্তেজিত জনতা গাড়ির খালাসি হাসেম আলিকে বেধড়ক মারধর করে। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে আসে।
মৃত শিশুর বাবা জান্নাতুল মোল্লা বলেন, ‘‘ছেলেকে বাঁচাতেই হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু গাড়ির ধাক্কায় সব শেষ করে দিল। আর চিকিৎসা হল না।’’ চালকের খোঁজ চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy