Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
State- Lok Sabha Election 2019

ঠাকুরনগরে উদ্ধার হল বোমা, চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলে

বোমা উদ্ধারের ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।

এখান থেকেই মিলেছে বোমাগুলি। নিজস্ব চিত্র

এখান থেকেই মিলেছে বোমাগুলি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
গাইঘাটা শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৯ ০১:৫৯
Share: Save:

ঠাকুরনগরে মতুয়া ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে কয়েকটি বোমা উদ্ধার করল গাইঘাটা থানার পুলিশ। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির মধ্যে থেকে বোমাগুলি উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ৬টি বোমাই অকেজো ছিল। কারা কী জন্য সেগুলি জড়ো করেছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এ দিকে, বোমা উদ্ধারের ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘বোমাগুলি বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর মজুত করে রেখেছিলেন। ৬ মে বনগাঁ লোকসভা ভোটের দিন হিংলি এলাকায় একটি বুথের বাইরে শান্তনুর কনভয়ের গাড়ি থেকে বোমা ছোড়া হয়েছিল। সেই বোমাও এখানেই রাখা ছিল।’’

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শান্তনু। বোমা উদ্ধারের বিষয়টি জ্যোতিপ্রিয়ের চক্রান্ত বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘জ্যোতিপ্রিয় নিজেদের দুষ্কৃতীদের দিয়ে বোমা রেখে আমাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করেছেন। ঠাকুরবাড়ি থেকে বোমা উদ্ধার হল, অথচ পুলিশের পক্ষ থেকে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এ দিন সকালে ঠাকুরবাড়িতে শান্তনু সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘৪ মে যখন প্রচারে বেরিয়েছিলাম, তখন আমাকে জ্যোতিপ্রিয় পুলিশকে কাজে লাগিয়ে খুনের চক্রান্ত করেছিলেন। রাস্তায় একটি গাড়ি এসে আমার গাড়িতে ধাক্কা মারে। এটা জ্যোতিপ্রিয়র পূর্ব পরিকল্পিত ছিল।’’ জ্যোতিপ্রিয়র নামে অভিযোগও করা হয়েছিল। এখন ওই বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে বলে দাবি শান্তনুর। বিজেপি প্রার্থী আরও জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়াই পুলিশ বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের বাড়ির গেট ভেঙে ঢুকে পরিবারের লোকজনকে হেনস্থা করেছে। তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশকে কাজে লাগিয়ে জ্যোতিপ্রিয় ওই কাজ করেছেন। আমরা ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করছি।’’

জ্যোতিপ্রিয় এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘এ সবের কোনও উত্তর আমার কাছে নেই। ২৩ মে ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পরে ওঁকে লোটাকম্বল নিয়ে অষ্ট্রেলিয়ায় চলে যেতে হবে।’’

জ্যোতিপ্রিয়র পাল্টা দাবি, বিজেপির লোকজন তাঁকেই প্রাণে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। দিন কয়েক আগে তিনি গোবরডাঙা থানায় শান্তনু, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর এবং দলের বারাসত সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের নামে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন। জ্যোতিপ্রিয়র কথায়, ‘‘ঠাকুরবাড়ির কোনও সদস্য এত হিংস্র হতে পারেন, জানা ছিল না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE