প্রতীকী ছবি
বিস্কুটের দাম খুচরো পয়সায় মেটাতে চাওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটল। শুক্রবার সকালে হাবড়া নগরউখরা মোড় এলাকার ঘটনা। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে হাবড়া পুরসভার দুই অস্থায়ী সাফাইকর্মী নগরউখরা এলাকার এক দোকান থেকে পাঁচ টাকা মূল্যের একটি বিস্কুটের প্যাকেট কেনেন। দোকানিকে তাঁরা ২ টাকার দু’টি ও ১ টাকার ১টি কয়েন দেন। অভিযোগ, দোকানি তা নিতে অস্বীকার করেন। শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি এবং মারপিট। দোকান মালিক মানসকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘ওঁদের বলি, আমার কাছে প্রচুর খুচরো পয়সা জমে আছে। আপনারা ১০ টাকা দিন, আমি ৫ টাকার কয়েন ফেরত দিচ্ছি। ওঁরা কথা শুনতে চাননি।’’
এটা অবশ্য কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। হাবড়ায় খুচরো পয়সা নিয়ে রোজই সাধারণ মানুষের সঙ্গে দোকানিদের কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, বিক্রেতারা খুচরো পয়সা নিতে চান না। মুদি দোকানি, আনাজওয়ালা, মাছওয়ালা কেউউ খুচরো নিচ্ছেন না। সমস্যায় ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁরাও সমস্যায়। কারণ, তাঁরা যে সব মহাজনের কাছ থেকে মালপত্র নেন তাঁরাও খুচরো নিতে চান না। স্থানীয় ২ নম্বর রেলগেট এলাকার এক দোকানি বলেন, ‘‘৫ টাকা পর্যন্ত খুচরো পয়সা নিই। তার বেশি হলে আমাদের পক্ষে নেওয়া সম্ভব হয় না।’’ তবে কোনও কোনও দোকানি খুচরো নিচ্ছেন বলেও দাবি করেছেন। শহরের একটি বিখ্যাত মিষ্টির দোকানের মালিক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘কিছু দিন আগেও খুচরো পয়সা নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা ছিল। তবে এখন আমরা খুচরো নিচ্ছি।’’
‘হাবড়া চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি’র সম্পাদক নিরঞ্জন সাহা বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীরা খুচরো একেবারেই নিচ্ছেন না এমনটা নয়। বাজারে খুচরো পয়সার জোগান খুব বেশি হওয়ায় একটু সমস্যা হচ্ছে। তাঁর দাবি, ব্যবসায়ীদের বলেছি, তাঁরা যেন সাধ্যমতো ক্রেতাদের কাছ থেকে খুচরো পয়সা নেন।’’ সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন, হাবড়া পুরসভার প্রধান নীলিমেশ দাস। তিনি বলেন, ‘‘খুচরো পয়সা যাতে সকলে নেন, তার জন্য প্রচারও করা হয়েছে। এর পরেও কেউ খুচরো না নিলে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy