প্রতীকী ছবি
এক যুবকের করোনা-রিপোর্ট পজিটিভ রিপোর্ট এল বাদুড়িয়ায়। জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, কলকাতার একটি হাসপাতালে বাদুড়িয়ার চণ্ডীপুর এলাকার ওই যুবকের চিকিৎসা চলছে। শনিবার এই খবর আসার পরে যুবকের মা এবং বোনকে বাদুড়িয়ার একটি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পাঠানো হয়। যুবকের মায়ের হৃদযন্ত্রে সমস্যা থাকায় তাঁদের দু’জনকে পরে মাটিয়া এলাকার একটি নিভৃতবাস কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। ওই যুবক কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী।
বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “বাদুড়িয়ার ওই যুবকের শরীরে করোনা-রিপোর্ট পজিটিভ। মনে করা হচ্ছে, কর্মস্থল থেকে তিনি সংক্রমিত হয়েছেন।”
জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭ এপ্রিল কলকাতা থেকে ওই যুবক গ্রামের বাড়িতে ফিরেছিলেন। রিপোর্ট আসার পরে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা গ্রামটিকে বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেন। ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ায় বাদুড়িয়া, বসিরহাটের বিভিন্ন গ্রামে ঢোকার রাস্তায় বাঁশ, গাছের গুড়ি, ইট, পাথর ফেলে রাস্তা আটকে দেওয়া হয়েছে।
নজরদারির পাশাপাশি নাকা চেকিং বাড়িয়েছে পুলিশ। রাস্তায় না বের হওয়ার জন্য মাইকে আবেদন জানানো হচ্ছে। বৈধ অনুমতি (লকডাউন পাস) ছাড়া বসিরহাটে ঢোকা এবং বেরোনো বন্ধ করা হয়েছে। ভিড় দেখলেই তাড়া করছে পুলিশ। বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার কঙ্করপ্রসাদ বাড়ুই বলেন, “গ্রাম ও শহরের রাস্তায় কড়া নজরদারির পাশাপাশি, রমজান মাসে মসজিদে যাতে জমায়েত না হয়, সে জন্য সব এলাকায় বাড়িতেই নমাজে অনুরোধ করা হচ্ছে।”
বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে যাতে চিনা পণ্য না ঢোকে, সে বিষয়ে শনিবার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন দক্ষিণবঙ্গের ডিআইজি রাজেশ কুমার। বসিরহাট শহর ঘুরে শনিবার তিনি যান ঘোজাডাঙা সীমান্তে। জ়ারের ব্যবস্থাও করতে হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy