শোকার্ত: মৌলের পরিবার। নিজস্ব চিত্র
অনুমতি চেয়েছিলেন, কিন্তু বন দফতর দেয়নি। এ দিকে, লকডাউনের জেরে অচল হয়ে পড়েছিল তাঁর সংসার। তাই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই মধু সংগ্রহ করতে জঙ্গলে ঢুকেছিলেন সাতজন মউলি। সোমবার দুপুরে রথীন সরকার (৩৮) নামে তাঁদের একজনকে পিরখালির জঙ্গলে বাঘে টেনে নিয়ে গিয়েছে। বেঁচে থাকতে সংসার চালানোর জন্য যে সাহায্য মেলেনি, তার আশ্বাস মিলেছে এই ঘটনার পরে।
রথীনের বাড়ি গোসাবার লাহিড়িপুর পঞ্চায়েতের জেমসপুরে। রবিবার রাতে রথীন-সহ সাতজন মধু সংগ্রহ করার জন্য রওনা দিয়েছিলেন পিরখালি ১ জঙ্গলে। মউলিরা আবেদন করলেও লকডাউনের মধ্যে মধু সংগ্রহের অনুমতি দেয়নি বন দফতর।
এ দিকে রোজগার প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ। সরকার থেকেও সে ভাবে মউলিরা কোনও সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তাই রথীনরা বেরিয়েছিলেন কাজে।
সোমবার সকালে জঙ্গল লাগোয়া খালে পৌঁছে যান সকলে। প্রথা মেনে জঙ্গলে প্রবেশের সময় একটি গাছের সামনে বনবিবির পুজো করেন তাঁরা। কিছুটা গভীরে কয়েকটি মৌচাক খুঁজে পেতে মধু সংগ্রহ করতে শুরু করেন। সে সময়ে বাঘ আক্রমণ করে রথীনকে। ঘাড়ে কামড় বসিয়ে জঙ্গলের মধ্যে টেনে নিয়ে যায়।
বাকিরা গ্রামে ফিরে ঘটনার কথা জানান। স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিষ্ণুপদ ঘরামি ও পঞ্চায়েত প্রধান প্রকৃতি ঘরামি পৌঁছন রথীনের বাড়িতে। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তাঁরা। ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকেও ওই পরিবারকে সাহায্য করার কথা জানানো হয়েছে।
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের সহকারী অধিকর্তা অনিন্দ্য গুহঠাকুরতা বলেন, “একটা ঘটনার কথা শুনেছি। সরকারি ভাবে মধু সংগ্রহের কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কী ভাবে দলটি জঙ্গলে গেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy