বিপজ্জনক: এই সেতুতে বন্ধ হয়েছে ভারী যান চলাচল। বসিরহাটে। ছবি: নির্মল বসু।
বসিরহাটের ইছামতী সেতুতে বিপজ্জনক ফাটল দেখা দেওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হল পণ্যবাহী লরি চলাচল।
আপাতত বসিরহাট হয়ে ইছামতী সেতু পেরিয়ে ওল্ড সাতক্ষীরা রাস্তা দিয়ে সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেল। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, যত দিন না সেতু মেরামতের কাজ শেষ হয় ততদিন বসিরহাটের পরিবর্তে সীমান্ত বাণিজ্যের লরি বেড়াচাঁপা এবং বাদুড়িয়া হয়ে স্বরূপনগরের তেঁতুলিয়া সেতু দিয়ে কাটিয়াহাট হয়ে ঘোজাডাঙায় যাবে। সেতু মেরামতের কাজ শেষ হতে সপ্তাহ দু’য়েক লাগতে পারে। অনেকে আবার এক মাসও হতে পারে বলে মনে করছেন।
পূর্ত ও পূর্ত সড়ক দফতরের সিনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার ফাটলের পরিস্থিতি দেখে তবেই ঠিক করবেন কী ভাবে তা মেরামত করা হবে। ততদিন পর্যন্ত ইছামতী সেতু দিয়ে ভারী লরি চলাচল বন্ধ। এ কথা জানিয়ে পূর্ত ও পূর্ত সড়ক দফতরের মহকুমা আধিকারিক রানা তারং বলেন, ‘‘ইছামতী সেতুর মাঝের পিলারের উপর থাকা গার্ডারের তলায় ফাটল ধরেছে। যদি বেয়ারিং ভাঙে তা হলে মেরামত করতে একটু সময় লাগবে। মেরামতের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেতুর উপর ভারি গাড়ি যেতে পারবে না।’’
রবিবার সকালে সেতুর যে দিকের পিলারে ফাটল ধরেছে সে দিক গার্ডরেল লাগানো হয়েছে। যাতে ওই অংশে কোনও গাড়ি ঢুকে পড়তে না পারে। সেতুর উপর পুলিশি টহল শুরু হয়েছে।
২০০১ সালে ৪ ফেব্রুয়ারি বসিরহাটের ইছামতী নদীর উপর সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। সেই থেকে আর সেতু সংস্কার হয়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। মাঝে রং করা হয়েছে মাত্র। ২৪০ মিটার লম্বা এবং ১১মিটার চওড়া সেতুর উপর অনেক জায়গাতেই তাপ্পি মারা হয়েছে। ব্যাস ওই পর্যন্তই। ঠিকমতো দেখভালের অভাবে সেতুর নীচে নদীর মাঝে মূল পিলারটিতে যে গভীর ফাটল দেখা দিয়েছে তা টের পায়নি প্রশাসন।
সম্প্রতি সেতুর উপর একাধিক জায়গাতে পাথর, সিমেন্ট, বালি উঠে লোহার শিক বেরিয়ে পড়েছে। রাতারাতি তা ঢাকতে ভাঙা জায়গাগুলির উপর পিচ-পাথরের তাপ্পি মারা হয়। তখনও সেতুন নীচের ভয়াবহতা কারও চোখে পড়েনি।
শনিবার প্রশাসনের কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পিলারের ফাটল দেখেন। বসিরহাটের পুরপ্রধান তপন সরকার বলেন, ‘‘সেতুর পিলারে ফাটল উদ্বেগজনক। তবে কিছুদিনের মধ্যে তা মেরামত হবে বলে সংশ্লিষ্ট দফতর জানিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy