প্রতীকী ছবি।
‘মৃত’ মহিলার অন্তর্ধান এবং প্রত্যাবর্তন পুলিশকে যে এমন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেবে তা কখনও ভাবতে পারেননি দু’দশক চাকরি করে পোড়খাওয়া পুলিশ অফিসারেরাও।
নিমতার মিঠু কুণ্ডু ফিরেছেন। এখন পুলিশের কাছে বড় প্রশ্ন ১২এপ্রিল খড়দহ থানা এলাকায় একটি আবর্জনার স্তূপে যে আধপোড়া, পেট ফাটা, অর্ধনগ্ন দেহটি মিলেছিল সেটি কার? কিন্তু মৃতদেহটি সৎকার হয়ে যাওয়ায় হাতে প্রমাণ তেমন নেই। সোমবার মিঠুদেবীর মেয়ে মৌমিতা বলেন, ‘‘২১মার্চ গোলাপি লেগিংস এবং নীল-সাদা টপ পরে মা বাড়ি থেকে বেরোন। ১৩ এপ্রিল মর্গে যখন শনাক্ত করি তখন ওই পোশাক মৃতদেহে ছিল। চেহারার সঙ্গেও হুবহু মিল। শুধু বেঁটে লাগছিল। ভেবেছিলাম পুড়ে গিয়েছে বলে হয়তো মনে হচ্ছে।’’
মঙ্গলবারই ব্যারাকপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন মিঠুদেবী। পুলিশের দাবি, সোমবার কমিশনারেটের গোয়েন্দাপ্রধান ও অন্য পুলিশকর্তাদের কাছে নিজের চলে যাওয়া ও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগহীন হয়ে থাকা নিয়ে বিভিন্ন যুক্তি দেখান তিনি। পুলিশ জানায়, ‘‘আবর্জনার স্তূপে যে দেহটি মিলেছিল তার সঙ্গে মিঠুদেবীর কোনও সংযোগ আছে কি না সেটাই জানার।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্টে প্রাথমিক ভাবে মৃত্যুর আগে পুড়ে যাওয়ার কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে এটি খুন নাকি আত্মহত্যা তা নিয়েও সংশয় থাকছে। আত্মহত্যা হলে দেহটিকে আবর্জনার স্তূপে এনে কে কেন ফেলল সেটাও ভাবাচ্ছে। দেহ সৎকার হয়ে গিয়েছে, প্রমাণও তেমন কিছু নেই, কোনও সূত্রও মেলেনি, তাই ময়না তদন্তের রিপোর্টের উপরেই এই মামলার তদন্ত নির্ভর করবে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি-২ ধ্রুবজ্যোতি দে বলেন, ‘‘পুলিশ নতুন করে পুড়ে যাওয়া দেহটি নিয়ে তদন্ত করছে। ময়না তদন্তের ফাইনাল রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। মিঠুদেবীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy