প্রতীকী ছবি
ঘর ভাঙার ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালাল জনতা। পাল্টা তৃণমূল আশ্রিতরা মারধর এবং ঘর ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। সোমবার দুপুরে এই ঘটনায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয় পক্ষের ৮-১০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আমপানে ক্ষতিগ্রস্তেরা সকলে ঘরভাঙার টাকা পাচ্ছেন না বলে বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় অভিযোগ আছে। শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের অভিযোগে গত কয়েক দিন ধরে ব্লক, পঞ্চায়েত দফতর ঘেরাও, মারামারির ঘটনাও ঘটছে। এ বার তৃণমূল পার্টি অফিসে ঢুকেও বিক্ষোভ, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল।
এ দিন বেলা ২টো নাগাদ কয়েকজন গ্রামবাসী মিনাখাঁ বাসস্ট্যান্ডের কাছে তৃণমূলের পার্টি অফিসে যান। কেন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের বদলে অন্যেরা সরকারি ক্ষতিপূরণের টাকা পাচ্ছেন, সেই প্রশ্ন তুলে শুরু হয় বিক্ষোভ। অভিযোগ, এক তৃণমূল নেতা বিক্ষোভকারীদের গালিগালাজ করে হুমকি দিলে উত্তেজনা বাড়ে। দু’পক্ষের বচসা, হাতাহাতি শুরু হয়। ক্ষুব্ধ জনতা পার্টি অফিসে ঢুকে চেয়ার, টেবিল, সরঞ্জাম বাইরে বের করে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের বেশ কিছু লোকজন ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের তাড়া করে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। গ্রামের মধ্যে ঢুকে কয়েকজনকে বের করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
গ্রামবাসীদের মধ্যে কাকলি দাস, সোমনাথ দাস, কল্পনা দাস বলেন, ‘‘কেন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের বাদ দিয়ে কেবল মাত্র তৃণমূলের লোকজন, তা-ও আবার যাদের দোতলা-তিনতলা পাকা বাড়ি আছে— তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে, সে কথা জানতে চাইলে নেতারা মারমুখী হয়ে ওঠেন।’’ আহত বুবুন হালদার বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্রামে ঢোকে। ঘর থেকে আমি এবং আমার মাকে টেনে হিঁচড়ে বের করে টাঙ্গি দিয়ে কোপায়।’’
অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে তৃণমূলের ব্লক নেতা আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘‘যাঁদের ক্ষতি হয়েছে, এমন প্রচুর মানুষের নাম তালিকায় দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু মানুষের টাকা ব্যাঙ্কে এসেছে। নথির সমস্যার জন্য কারও টাকা আসতে দেরি হচ্ছে। কোনও মানুষ সরকারি আর্থিক সাহায্য থেকে বাদ যাবেন না। যাঁদের এখনও টাকা আসেনি, তাঁদের মিথ্যা কথা বলে বিজেপি আশ্রিতরা উত্তেজিত করছে। ওরাই পরিকল্পিত ভাবে মানুষ খেপিয়ে আমাদের বুথ পার্টি অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে আমাদের কয়েকজনকে মারধর করেছে। ঘটনাটি পুলিশকে বলা হয়েছে।’’ পাল্টা হামলার অভিযোগ বা স্বজনপোষণ মানতে চাননি তৃণমূল নেতৃ্ত্ব।
অন্য দিকে, বিজেপির জেলা সভাপতি তারক ঘোষ বলেন, ‘‘গরিব মানুষের টাকা তৃণমূল আত্মসাৎ করছে। এ দিন যা ঘটেছে, তার সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। গরিব মানুষ টাকা চাইতে গিয়ে মার খেয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy