রোগী দেখছেন মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা। মেডিক্যাল ক্যাম্প চলছে সকাল ১০টা থেকে ৩টে পর্যন্ত। এরপর কিছু হলে সোজা চল্লিশ কিলোমিটার দূরে বনগাঁ মহকুমা হাসাপতালে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাগদার বয়রা পঞ্চায়েতের হরিতলা সংলগ্ন এলাকায় জ্বর আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিনের পর দিন বাড়ছে। সে জন্য হরিতলা গ্রামে স্বাস্থ্য দফতর থেকে সপ্তাহে পাঁচদিন মেডিক্যাল ক্যাম্প বসানো হয়েছে। কিন্তু সেখানে এত রোগীর ভিড় যে চিকিৎসকেরা হিমসিম খাচ্ছেন। ওই ক্যাম্পে প্রয়োজনের তুলনায় কম চিকিৎসক থাকায় বাগদা ব্লকের বিএমওএইচ ও বাগদা হাসপাতালের চিকিৎসক প্রণব মল্লিক কিছু সময় নিয়ম করে ওই মেডিক্যাল ক্যাম্পে রোগী দেখছেন। কিন্তু তাতেও সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।
বাগদা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হাসপাতালে ডেঙ্গি-সহ অনেক রক্ত পরীক্ষাই হয় না। তাই মানুষকে বাধ্য হয়ে বনগাঁতে পাঠানো হচ্ছে। তা ছাড়া হাসপাতালে আটজন চিকিৎসক থাকার কথা। কিন্তু এখন প্রণববাবুকে ধরে রয়েছেন পাঁচজন চিকিৎসক। ফলে হাসপাতালে রোগীদের চাপ সামলে হাসপাতালের চিকিৎসকদের পক্ষে ওই ক্যাম্পে সময় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
গ্রামবাসীদের সমস্যা মেটাতে প্রোগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের বনগাঁ মহকুমা শাখা থেকে গ্রামে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাঠানো হয়েছে। তাঁরা বিনা পারিশ্রমিকে রোগী দেখেছেন। তাঁদের মধ্যে গোপাল পোদ্দার নামে এক চিকিৎসক বলেন, ‘‘এখানকার মানুষ ওঝা গুণিনের উপর নির্ভর করেন। তা ছাড়া এখানে সরকারি চিকিৎসকের অভাব আছে। তাই আমরা এসেছিলাম।’’ সংগঠনের পক্ষ থেকে দু’বস্তা ব্লিচিং পাউডার গ্রামবাসীদের দেওয়া হয়েছে।
বনগাঁ সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শতরূপা বসু ও প্রণব মল্লিকেরাও গ্রামে গিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। জ্বর প্রতিরোধে কী করতে হবে তাও গ্রামবাসীদের বুঝিয়েছেন। এ দিকে গ্রামে জ্বরের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ার পর গ্রামের মানুষ নিরামিশ খাচ্ছেন। বিভিন্ন ঠাকুরের পুজোও দেওয়া হচ্ছে। প্রণববাবু বলেন, ‘‘নিরামিশ খাওয়ার সঙ্গে জ্বর কমে যাওয়ার কোনও বৈজ্ঞানিক সম্পর্ক নেই।’’ স্থানীয় বিধায়ক দুলাল বর একটি অ্যাম্বুল্যান্স গ্রামে দিয়েছেন। গ্রামবাসী চাঁদা তুলছেন। কাউকে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলে তাঁরা গাড়ির তেল খরচ দিচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy