ধৃত হাসানুজ্জমান
নাবালিকাকে বাড়ির একটি ঘরে আটকে রেখে যৌন অত্যাচার চালানোর অভিযোগে এক গুনিনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মাটিয়া থানার কৃপালপুর গ্রামের বাসিন্দা ধৃতের নাম হাসানুজ্জমান। বুধবার তাকে বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক চোদ্দো দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। নাবালিকার গোপন জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আপাতত পাঠানো হয়েছে হোমে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’সপ্তাহ আগে হুগলির বাসিন্দা বছর চোদ্দোর মেয়েটিকে নিজের বাড়িতে এনে রাখে ওই গুনিন। মেয়েটি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। বাবা-মায়ের মধ্যে গন্ডগোলের জেরে দমদমে এসে এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকত। অশান্তি মেটাতে তার কাছে উপায় আছে বলে দাবি করেছিল হাসানুজ্জমান। মেয়েটিকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। সোমবার বিকেলে ঝড়-বৃষ্টির সময়ে সে পালিয়ে এসে গ্রামের মানুষের কাছে আশ্রয় চায়।
পুলিশ তদন্তে নেমে জেনেছে, গ্রামের মানুষকে ওই নাবালিকা বলে, তার উপরে অত্যাচার চালাত গুনিন। ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণও করেছে। ঘটনার কথা কাউকে বললে খুনের হুমকিও দেওয়া হয় তাকে।
গ্রামের মানুষ অবশ্য হাসানুজ্জমানের বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ খুলতে পারেননি। সেই সুযোগে মেয়েটিকে ফের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে গুনিন। গ্রামে এক মহিলা পুলিশকর্মীর বাড়ি। সেখানেই মেয়েটিকে রাখার ব্যবস্থা করেন স্থানীয় মানুষজন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে মাটিয়া থানা থেকে পুলিশ গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। গ্রামের মানুষ এবং ওই নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় গুনিনকে। খবর দেওয়া হয় মেয়ের মাকে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে গুনিন বলে, ‘‘আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy