ভাঙন: নিজস্ব চিত্র
টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জল বেড়েছে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় ঢেউ আছড়ে পড়ছে নদী বাঁধে। ভাঙছে পাড়। তার ঠেলায় ঘর-জমি হারানোর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন দেগঙ্গার চাঁপাতলা পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। ক্ষতির হওয়ার আগে যদি ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সে জন্য এলাকার মানুষ রাজ্য সেচ দফতরে গণস্বাক্ষর জমা দিয়েছেন। কিন্তু বাঁধ মেরামতির কোনও ব্যবস্থা এখনও নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
দেগঙ্গার চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে বিদ্যাধরী নদী। কয়েক বছর ধরে সেখানকার গাংনিয়া, গাংধুলাটের মতো গ্রামের কয়েকশো একর জমি চলে গিয়েছে নদীর গ্রাসে। গাংনিয়া গ্রামের বাসিন্দা অরূপ মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রতি বর্ষায় নদীর পাড় ভাঙলে প্রশাসনিক কর্তারা দেখতে আসেন। ছবি তুলে নিয়ে যান। প্রতিশ্রুতিও দেন। কিন্তু কাজ হয় না।’’ গ্রামবাসী আশুতোষ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বামআমলে পাড় ভাঙন রোধে বাঁশের খাঁচা দেওয়া হয়েছিল। তারপর আর কিছুই হয়নি। বর্তমান সরকারেরও কোনও ভ্রূক্ষেপই নেই।’’
জল ছাপিয়ে ঢুকেছে নদীর তীরের কয়েকটি পাড়ায়। বেশ কয়েকটি বাড়ি যে কোনও সময়ে ভেঙে পড়তে পারে। গাংধুলাটের কওসর মোল্লা বলেন, ‘‘প্রায় ৭০ ফুট জমি তলিয়ে গিয়েছে।’’ দেগঙ্গার বিডিও মনোজকুমার বলেন, ‘‘২০১৫ সালে প্লাবিত এলাকা, ভাঙনের তথ্য ও ছবি সেচ দফতরকে পাঠানো হয়েছিল। ফের জানানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy