Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Clash

সালিশি সভায় মারপিট, ভাঙচুর বাড়িঘর-অটো

বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়া থানার সোনাকানিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকায়।

তছনছ: রান্নার জায়গা। — ছবি: সুজিত দুয়ারি

তছনছ: রান্নার জায়গা। — ছবি: সুজিত দুয়ারি

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাবড়া শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২০ ০২:৪৮
Share: Save:

সালিশি সভায় মারপিটে মাথা ফাটল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের। ওই পঞ্চায়েত সদস্য এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে আবার বাড়িঘর, অটো ভেঙে দেওয়ার পাল্টা অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়া থানার সোনাকানিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকায়। দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। দু’টি মামলা রুজু করে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জমিজমার ভাগাভাগি নিয়ে দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা ইসরাফিল মোল্লার সঙ্গে তাঁর প্রথম পক্ষের ছেলে ফিরোজ মোল্লার বিবাদ চলছিল। কয়েকবার আত্মীয়-স্বজনেরা আলোচনায় বসেছিলেন। সমস্যা মেটেনি। প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে ইসরাফিল আবার বিয়ে করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ছেলে-বাবার বিবাদ মেটাতে সালিশি সভা ডাকা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হালিম মণ্ডলের বাড়িতে ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন কুমড়া পঞ্চায়েতের দুই তৃণমূল সদস্য মনোয়ারা বিবি ও রফিকুল মোল্লা। অভিযোগ, সভায় এসে কিছু ব্যক্তিগত কথা তুলে ফিরোজকে চড় মারেন রফিকুল। ফিরোজ পাল্টা লাঠি চালিয়ে রফিকুলের মাথা ফাটিয়ে দেন বলে অভিযোগ। কয়েকটি সেলাই পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে সালিশি সভা ভন্ডুল হয়ে যায়। অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্যের মাথা ফাটার পরে তিনি তাঁর অনুগামীদের নিয়ে এলাকায় তাণ্ডব শুরু করেন। আগ্নেয়াস্ত্র, দা-কুড়ুল-শাবল ছিল হামলাকারীদের হাতে। ফিরোজের আত্মীয় সফিকুল মোল্লার বাড়িতে চড়াও হয়ে গ্রিলের তালা ভেঙে ঢুকে বাড়িতে তছনছ করা হয়। মইবুল ইসলাম মোল্লার বাড়িতেও ভাঙচুর চলে। খাবার ছড়িয়ে ফেলে দেওয়া হয়। একটি কাপড়ের দোকানে হামলা হয়েছে। হাকিম মোল্লা, রফিকুল মোল্লা ও সফিকুল মোল্লার তিনটি অটো ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সকলেই ফিরোজদের আত্মীয়-স্বজন। সফিকুল বলেন, ‘‘ওরা হামলা করছে দেখতে পেয়ে গ্রিলে তালা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলাম। তালা ভেঙে ঢুকে ওরা ঘরের সব জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে।’’ ফিরোজের বক্তব্য, ‘‘সালিশি সভায় পঞ্চায়েত সদস্য মদ্যপ অবস্থায় এসেছিলেন। যে কারণে সভা ডাকা হয়েছিল, তিনি সেই বিষয়ে কথা না বলে আমাকে অন্য প্রসঙ্গ তুলে মারধর করেছেন। পরে লোকজন এনে হামলাও চালান।’’ অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য রফিকুলের কথায়, ‘‘আমার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। কারা ভাঙচুর চালিয়েছে জানি না। আমাকে মারার ঘটনায় স্থানীয় লোকজন হয় তো প্রতিবাদ করেছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Clash TMC Habra
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE