গ্রেফতার: সৌম্যজিৎ নন্দী।— নিজস্ব চিত্র
এক যুবককে গ্রেফতার করে ২২টি চোরাই মোটর বাইকের সন্ধান পেল বসিরহাট থানার পুলিশ।
ধৃত সৌম্যজিৎ নন্দীর বাড়ি বসিরহাটের খান বাহাদুর রোডের পাশে শেখপাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, বছর চারেক আগে বসিরহাটের একটি কলেজ থেকে কলাবিভাগে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে সৌম্যজিৎ। তার কাছ থেকে দশ লিটার তরল মাদকও উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। তাঁরা জানতে পেরেছেন, অল্প দামে চোরাই বাইক কিনে তা বাংলাদেশে বিক্রি করাই ছিল সৌম্যজিতের ব্যবসা। বাইক চুরি চক্রের মূল পান্ডা শুভ ওরফে ল্যাংচা নামে এক যুবকের খোঁজ করছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বসিরহাটের বিভিন্ন প্রান্তে মোটর বাইক চুরির অভিযোগ আসছিল। তদন্তে নামে পুলিশ। বিশেষ সূত্রে সৌম্যজিতের খোঁজ মেলে। পুলিশ জানায়, ব্যবসায়ী পরিবারের ওই যুবক বছর চারেক আগে কলেজ থেকে পাস করেছিল। তারপরে পরিচয় হয় স্থানীয় যুবক ল্যাংচার সঙ্গে। মাদকের নেশায় জড়িয়ে পড়ে সৌম্যজিৎ। মাদক বিক্রি চক্রের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়ে। চোরাই মোটর বাইকের ব্যবসায় নেমে পড়ে।
৩ অগস্ট রাতে বসিরহাট থানার পুলিশ সীমান্তবর্তী সোলাদানা এলাকা থেকে সৌমজিৎকে মাদক-সহ গ্রেফতার করে। আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১০ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজাতে রাখার নির্দেশ দেন।
এক পুলিশকর্তার দাবি, ‘‘গ্রেফতারের সময়েও আমরা জানতাম না, মোটর বাইক চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ওই যুবক। পরে জেরার মুখে সে কথা স্বীকার করে।’’
সৌম্যজিতের দাবি, ‘‘আমাক ভুল বুঝিয়েছিল ল্যাংচা। বন্ধক রাখার নাম করে আমার কাছে চোরাই মোটর বাইক রেখে যেত, তা বুঝিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy