ধড়াম: ভেঙে পড়েছে নির্মীয়মাণ সেতুর অংশ। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র
কাকদ্বীপের ভেঙে পড়া সেতুর প্রায় গায়েই থাকে তিনটি পরিবার। নির্মীয়মাণ সেতুর গার্ডার বাঁ দিকে না ভেঙে পড়ে ডান দিকে পড়লেই ওই তিনটি পরিবার চাপা পড়ত। বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা ছিলই।
কাকদ্বীপের কালনাগিনী খালের উপরে সেতুটি রামকৃষ্ণ পঞ্চায়েতের কালীনগর ও উল্টো দিকে বিবেকানন্দ পঞ্চায়েতের স্টিমারঘাট সংযোগকারী। সেতুটির কালীনগরের দিকে খালের মুখ পর্যন্ত অ্যাপ্রোচ রোডে সেতুর গার্ডারের কাজ শেষ হয়েছে। স্টিমারঘাটের দিকে অ্যাপ্রোচ রোডের সঙ্গে সংযোগকারী সেতুর গার্ডারে মাস তিনেক আগে ঢালাই ফেলা হয়েছিল। দিন পনেরো আগে ওই কংক্রিটের ঢালাইয়ের নীচে লোহার পাইপের ঠেকা খুলে ফেলা হয়। ক’দিন ধরে টানা বৃষ্টির জেরে সেতুর নীচের মাটি নরম হয়ে যায়। নির্দিষ্ট সময়ের আগে পাইপ সরিয়ে নেওয়ার ফলে এবং টানা বৃষ্টিতেই বিপত্তি বলে অনুমান সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিকদের। তবে সে কথা মানতে নারাজ এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, নিম্নমানের সরঞ্জাম দিয়ে নির্মাণ কাজ হওয়ার ফলেই ভেঙেছে সেতু।
এই ঘটনায় আতঙ্কিত ওই তিন পরিবারের সদস্যেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ সেতুটি ভেঙে পড়ে। যদি কোনও ভাবে বাঁ দিকে না পড়ে ডান দিকে পড়ত, তা হলে বাড়ি-সমেত তালগোল পাকিয়ে যেত কয়েকটি প্রাণ। নির্মীয়মাণ সেতুর কাছেই থাকেন শর্মিলা বিশ্বাস, শান্তি সরকার, মৌমিতা দাসরা। তাঁদের বক্তব্য, এর আগে নির্মীয়মাণ সেতুতে ফাটল দেখা দিয়েছিল। তা নিয়ে এলাকায় হইচই শুরু হওয়ায় ঠিকাদারের লোকজন কোনও মতে জোড়াতালি দেয়। কিন্তু তাতে যে শেষরক্ষা হয়নি, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এ দিনের ঘটনা। শান্তি, শর্মিলারা বলেন, ‘‘বিকেলের দিকে এই কাণ্ড ঘটলে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হত। পাড়ার অনেক ছেলেমেয়ে সেতুর উপরে উঠে খেলা করে। খালের নীচ দিয়ে মাছ ধরা নৌকো যায়। কপাল ভাল, কারও ক্ষতি হয়নি।’’
সুন্দরবন উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরার দাবি, নির্মাণের সরঞ্জামের গুণগত মান ঠিকই ছিল। নির্মাণে দেরির কারণ, স্টিমার ঘাটের দিকে সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড তৈরিতে যে জমি দরকার ছিল, সে জন্য কিছু পরিবারকে সরাতে সময় লেগেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy