চলছে প্রদশর্নী। —নিজস্ব চিত্র।
একটি সেতুতে ওঠার জন্য এক সঙ্গে অনেক গাড়ির লাইন পড়ে গেলে ট্র্যাফিক ব্যবস্থা কী ভাবে কাজ করবে?
স্থায়ী ভাবে নদীর ভাঙন আটকানো কি আদৌও সম্ভব?
বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার বিজ্ঞানভিত্তিক মডেলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা স্তরের প্রদর্শনী হয়ে গেল কাকদ্বীপের সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরে। সেখানেই এ রকমই নানা প্রশ্নের উত্তর মিলল। গতানুগতিকতার বাইরে নতুন ভাবনার মডেলের দেখা মিলল এই প্রদর্শনীতে।
জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের প্রকল্প আধিকারিক দীপায়নকুমার দাস বলেন, ‘‘গত বছরের প্রদর্শনীতে আমরা গতানুগতিক মডেল পেয়েছিলাম। কিন্তু এ বার অনেক বাস্তবসম্মত মডেল এসেছে। যেগুলির ব্যবহারিক প্রয়োগ সম্ভব।’’ আয়োজকেরা জানান, প্রদর্শনীতে প্রথম হয়েছে কাকদ্বীপ বীরেন্দ্র বিদ্যানিকেতন, দ্বিতীয় শিশু শিক্ষায়তন এবং তৃতীয় বারুইপুরের রাসমণি বালিকা বিদ্যালয়। কাকদ্বীপ বীরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের দুই ছাত্র সৌর কোষ ছাড়া কী ভাবে সূর্যালোক থেকে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়, তার মডেল তৈরি করেছিল। কাকদ্বীপ শিশু শিক্ষায়তনের দশম শ্রেণির দুই ছাত্রের তৈরি মডেলের বিষয় ছিল সেতুতে ওঠার মুখে স্বয়ংক্রিয় ট্র্যাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা। বারুইপুরের রাসমণি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের মডেলে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল সোনার ক্ষুদ্রতম অনুকণা দিয়ে ক্যানসারের চিকিৎসা পদ্ধতি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বড়ো সমস্যা হল নদী ভাঙন। সে কথা মনে রেখেই শাল বল্লা অথবা কংক্রিটের বদলে ফাইবার প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্থায়ী ভাবে নদী ভাঙন রোধের মডেল ফুটিয়ে তুলেছিল সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরের নবম শ্রেণির ছাত্রীরা। শুধুই ইন্টারনেট কিংবা বই ঘেঁটে নয়, এই মডেল তৈরির আগে ওই ছাত্রীরা ঘোড়ামারা দ্বীপে গিয়ে সরেজমিনে ভাঙন দেখে এসেছিল বলে জানিয়েছে। সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরের শিক্ষক সঞ্জীবকুমার খাঁড়া বলেন, ‘‘পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান বাস্তবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে পড়ুয়ারা। স্বাধীন ভাবে ভাবতে পারছে। এখানেই বিজ্ঞানের সাফল্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy