Advertisement
০৮ মে ২০২৪

ভাসল সাগরের বোটখালি এলাকা

অমাবস্যার কোটালে ভাসল সাগরের বোটখালি এলাকা। আয়লায় বাঁধ ভেঙেছিল। তারপর দীর্ঘ দিন ধরে নদীবাঁধ নেই প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকায়। ধবলাট পঞ্চায়েতের সেই অংশ দিয়েই নোনাজল ঢুকে পড়েছে বোটখালি, রাধিকাপুর, বসন্তপুর, মনসাবাজার এলাকায়।

অতল: সমুদ্র গিলছে জনভূমি। নিজস্ব চিত্র

অতল: সমুদ্র গিলছে জনভূমি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:১২
Share: Save:

অমাবস্যার কোটালে ভাসল সাগরের বোটখালি এলাকা।

আয়লায় বাঁধ ভেঙেছিল। তারপর দীর্ঘ দিন ধরে নদীবাঁধ নেই প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকায়। ধবলাট পঞ্চায়েতের সেই অংশ দিয়েই নোনাজল ঢুকে পড়েছে বোটখালি, রাধিকাপুর, বসন্তপুর, মনসাবাজার এলাকায়। জলমগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় সমস্যায় প্রায় দেড় হাজার পরিবার। চিরাচরিত ভাবে প্লাবিত হয়েছে মৌসুনির বালিয়াড়াও।

সাগরের বোটখালি এলাকা ভাঙনের জন্যই বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে। আয়লায় ধবলাট মৌজায় প্রায় এক কিলোমিটার এবং শিবপুর মৌজায় প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকায় নদীবাঁধ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ২০১১ সালে ৭৬ কোটি টাকার কাজ শুরু হয়। জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সমস্যার জেরে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকেই প্রতি কোটালেই জল ঢুকে আসে বোটখালির বিভিন্ন জায়গায়। অনেক এলাকা থেকে উঠে গিয়েছে চাষ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে জলের তোড় বেশি হয়েছে। জলের গ্রাসে চলে গিয়েছে জমি পুকুর এবং বাড়ি, জায়গা জমি।

রাধিকাপুরের বাসিন্দা অমল মিদ্যা বলেন, ‘‘উন্নয়নের কাজ চার দিকে হচ্ছে। অথচ আমাদের এ দিকে হচ্ছে না। জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সমস্যা থাকলে একটা মধ্যস্থতা করতে পারে সরকার।’’ ও দিকে বোটখালির প্রাথমিক স্কুল ২০১৩ সাল থেকেই চলে গিয়েছে নদীগর্ভে। এখন পুরনো স্কুলবাড়ি এক দিকে হেলে পড়েছে। তা থেকে ৫০০ মিটার দূরে ক্লাস করাতে হচ্ছে বোটখালির কাদম্বিনী অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক উৎপল গিরি বলেন, ‘‘কী কষ্ট করে যে ক্লাস করতে হচ্ছে অস্থায়ী স্কুলে, বোঝাতে পারব না। এই সমস্যার শেষ হওয়া দরকার।’’ আয়লার কাজ না হলেও বসন্তপুরের দিকে সেচ দফতরের তরফে কিছুটা কাজ চলছে। তবে তা অস্থায়ী। বর্ষার আগে কেবল মেরামতি।

ও দিকে, মৌসুনির বালিয়াড়া বাজারেও জল ঢুকছে এই কোটালে। বিরোধী দলনেতা শেখ ইলিয়াসের দাবি, স্থায়ী বাঁধ না থাকার কারণে প্রতিবারই এই অবস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে এলাকার মানুষকে। চাষবাস শিকেয় উঠে গিয়েছে। সয়েল বাঁধের ও দিকে মুড়িগঙ্গার ভাঙন মারাত্মক। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা কেউ নিচ্ছে না।

তবে সেচ দফতরের তরফে স্থায়ী বাঁধ করতে গেলে জমি দিতে হবে। আয়লার স্থায়ী বাঁধ দিতে গেলে তা নিয়েই সমস্যা বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sagardwip coastal area flooded high tide
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE