ঠাসাঠাসি: বসিরহাট হাসপাতালের চিত্র। নিজস্ব চিত্র
জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের সুবিধার্থে খুলে দেওয়া হচ্ছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দরজা। বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পাশে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবা আগেই শুরু হয়েছিল। বুধবার থেকে ৩০০ শয্যার আধুনিক ওই হাসপাতালে রোগী ভর্তি করার কাজ শুরু হবে।
বসিরহাট জেলা হাসপাতালের সুপার শ্যামল হালদার বলেন, ‘‘জেলা হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্তদের ভর্তি করার মত শয্যা সংখ্যা ৮৬টি। অথচ গড়ে প্রতিদিন ৪০-৫০ জন জ্বর নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। বর্তমানে ১২১ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৩ জনের রক্তে ডেঙ্গি জীবানু মিলেছে। ভিড় এড়াতে এক রকম বাধ্য হয়েই অসুস্থদের মেঝেতে বিছানায় করে চিকিৎসা করতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় কাল, বুধবার থেকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি করা হবে।’’ গত এক মাসে ১৫০০ উপর রোগী জ্বর নিয়ে ভর্তির মধ্যে ৫০০ উপর রোগীর রক্তে ডেঙ্গির জীবানু মিলেছে বলে জানান হাসপাতাল সুপার।
গত মাস তিনেক ধরে বসিরহাট মহকুমা জুড়ে শুরু হয়েছে জ্বর। তার মধ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ার ফলে প্রায় দিনই মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে ব্লকে ব্লকে গ্রামীণ হাসপাতাল এবং উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও ভরসা সেই বসিরহাট জেলা হাসপাতাল। তবে রোগীর সংখ্যা এতোই বেশি যে, একটি মাত্র জেলা হাসপাতালের পক্ষে সকলকে রেখে চিকিৎসা করাটা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, বসিরহাটে আরও একটা বড় হাসপাতাল থাকলে ভালো হত। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষে কথা উঠেছিল এই অবস্থায় কেন খুলে দেওয়া হচ্ছে না সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। সে সব কথা বিবেচনা করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে সুপার স্পেশালিট হাসপাতালে ভর্তি শুরু হলে আরও উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy