চলছে-কাজ: হিঙ্গলগঞ্জের গ্রামে — নিজস্ব চিত্র
বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হল বসিরহাট মহকুমায়। এর জন্য পনেরো কোটি টাকা খরচ হবে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে সেচ দফতর। আমপানের দাপটে বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েক হাজার গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে। প্রচুর বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে বাঁধও ভেঙেছে বহু এলাকায়। ঝড়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি দেখার পাশাপাশি আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকের জন্য বসিরহাটে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সন্দেশখালির ন্যাজাটে এসেছিলেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা।
মহকুমা প্রশাসন ও সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটে প্রায় ৮৪৮ কিলোমাটির নদীবাঁধের মধ্যে বুধবারের ঝড়ে ২৩ কিলোমিটারের মতো বাঁধ সম্পূর্ণ ভেঙেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। ২ কিলোমিটারের মতো বাঁধের উপর দিয়ে জল চলে যাওয়ার কারণে ওই বাঁধেরও ক্ষতি হয়েছে। তবে যে সব জায়গায় অবৈধ ভাবে ইটভাটা এবং মেছোভেড়ির কারণে বাঁধ ভেঙেছে বা ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, তার দায়িত্ব নিতে রাজি নয় সেচ দফতর।
এ বিষয়ে বসিরহাট সেচ দফতরের আধিকারিক আশিস দত্ত বলেন, ‘‘বসিরহাট মহকুমার বাঁধ ভাঙার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী অমাবস্যার আগে বাঁধ মেরামতির চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আমপান ঝড়ে বাঁধের বড় রকম ক্ষতি হয়েছে সন্দেশখালি ১ ও ২, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ এবং মিনাখাঁ সহ কয়েকটি ব্লকে। ন্যাজাট, শিতলিয়া, কালীনগর, সেহেরা-রাধানগর, বাইনাড়া, বাঁশতলি, বাঁকড়া, সাঁতরা, শুলকুনি, জগন্নাথঘাট, বাউনিয়া সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় দু’শো-তিনশো ফুটের মতো বাঁধ ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। রায়মঙ্গল, কালিন্দি, ডাঁসা, বেতনি, ইছামতী, বিদ্যাধরী, বড়কলাগাছি সহ সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার বেশ কয়েকটি নদীর বাঁধ ভেঙেছে অথবা তা ছাপিয়ে নোনা জল গ্রামে ঢুকেছে।
সন্দেশখালি ১ বিডিও সুপ্রতিম আচার্য জানান, ন্যাজাট-সহ ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গা শতাধিক ছোট বড় বাঁধ পুলিশ, ব্লক ও পঞ্চায়েতের প্রচেষ্টায় মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy