প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের সরকারি-বেসরকারি ব্লাডব্যাঙ্কগুলির মধ্যে পরিষেবা, পরিকাঠামো ও গুণগত মানের দিক থেকে যুগ্ম ভাবে প্রথম স্থান পেল বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্ক।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে এ রাজ্যের মোট ১১২টি সরকারি-বেসরকারি ব্লাডব্যাঙ্ককে নিয়ে সমীক্ষা চালায় ‘ন্যাশনাল এডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন, ন্যাশনাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন কাউন্সিল ও কেন্দ্রের মিনিস্ট্রি অব হেলথ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার দফতর।
সমীক্ষার রিপোর্ট নভেম্বর মাসে প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্ট পৌঁছেছে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্ক ও ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্ক যুগ্ম ভাবে প্রথম হয়েছে।
এই সাফল্যে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাত বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করব, এই সাফল্য ধরে রেখে মানুষকে আরও উন্নত পরিষেবা পৌঁছে দিতে। রক্তের ভিতর থাকা উপাদান পৃথক করার ব্যবস্থা চালু করার জন্য স্বাস্থ্যভবনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ওই ব্যবস্থা চালু হলে ব্লাডব্যাঙ্ক থেকে আরও ভাল পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে।’’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে ওই সমীক্ষা যখন হয়েছিল, তখন বনগাঁ হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা ব্লাডব্যাঙ্ক পরিষেবা চালু ছিল না। সে সময়ে ব্লাডব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বছরে ৫ হাজার ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করতেন। চলতি বছরে রক্ত সংগ্রহ হয়েছে ৭ হাজার ইউনিট। ব্লাডব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের উৎসাহ ও প্রচারে নিয়মিত এখন ক্লাব, পুলিশ ও সামাজিক সংগঠন রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছে। ফলে রক্তের জোগান বেড়েছে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এখানে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা চালু হয়েছে।
অতীতে রক্ত না পেয়ে বহু ক্ষোভের সাক্ষী এই হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক। রক্তের জন্য কার্ড সংগ্রহ করে রোগীর আত্মীয়দের বারাসত বা কলকাতায় ছুটতে হত। পরিবারের লোকজন নিজেরা যেতে না পারলে যাঁরা রক্ত এনে দিতেন, তাঁদের মোটা টাকা দিতে হত। সে সময়ে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে প্রয়োজন মতো রক্ত পাওয়া যেত না। পরে অবশ্য পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটেছে।
ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্যজেলার মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস রায় বলেন, ‘‘আমরা নিয়মিত রক্ত সংগ্রহ করি। প্রশাসন, পুলিশ, এমনকী বিধায়কদের জানানো হয়। এ ছাড়া, আমাদের হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত রক্ত দান শিবিরের উদ্যোগ করেন। সে কারণেই ভাল পরিষেবা দিতে পারি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy