Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

পুকুরে মাছ চাষ নিয়ে বিবাদ

মাছ চাষ নিয়ে বিবাদের জেরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল পুকুর মালিকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী কয়েকজন অভিযুক্তের বাড়ি ও সেলাই কারখানায় ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ঝামেলার-পর: অশোকনগরে ছবিটি তুলেছেন শান্তনু হালদার

ঝামেলার-পর: অশোকনগরে ছবিটি তুলেছেন শান্তনু হালদার

নিজস্ব সংবাদদাতা
অশোকনগর শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৭ ০১:০৭
Share: Save:

মাছ চাষ নিয়ে বিবাদের জেরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল পুকুর মালিকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী কয়েকজন অভিযুক্তের বাড়ি ও সেলাই কারখানায় ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে অশোকনগর থানার কামারপুর এলাকায়। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, জখম মোন্তাজুল গাজিকে মোন্তাজুলকে অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে কলকাতার আরজিকরে পাঠানো হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মূল অভিযুক্ত ওসমান মণ্ডলের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কামারপুর এলাকায় ওসমানের পুকুরের একাংশ লিজে নিয়ে মোন্তাজুল হাইব্রিড মাগুর চাষ করেছিলেন। ওই পুকুরের অন্য অংশে ওসমান সাদা মাছের চাষ করেছিলেন। নেট-জাল দিয়ে পুকুর ভাগ করা ছিল।

দিন কয়েক আগে নেট ছিঁড়ে হাইব্রিড মাগুর ওসমানের অংশে ঢুকে পড়ে। ওসমান অভিযোগ তোলেন, মাগুর ঢুকে তাঁর সাদা মাছ খেয়ে নিয়েছে। এ নিয়ে বিবাদ শুরু।

শনিবার এলাকার লোকজন বিবাদ মেটাতে দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। সেখানে ঠিক হয়, ক্ষতিপূরণ বাবদ মোন্তাজুল ৫ হাজার টাকা দেবেন ওসমানকে। পুকুর থেকে মাগুর মাছ তুলেও নেবেন।

রবিবার সকালে সেই মতো মোন্তাজুল লোকজন নিয়ে এসে জাল ফেলে পুকুর থেকে মাগুর মাছ তুলতে থাকেন। অভিযোগ, মাগুর মাছ তোলার সঙ্গে মোন্তাজুলের লোকজন সাদা মাছও তুলে নিতে থাকেন। যা নিয়ে দু’পক্ষের বচসা বাধে। সে সময়ে ওসমান ও তাঁর আত্মীয়েরা মোন্তাজুলের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন বলে অভিযোগ।

মোন্তাজুলের মাথায় ধারাল অস্ত্রের কোপ পড়ে। ঘাড়েও ক্ষত আছে। মোন্তাজুলের চিৎকারে এলাকার মানুষ ছুটে এলে হামলাকারীরা পালায়।

উত্তেজিত জনতা ওসমানের বাড়িতে চড়াও হয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। ওসমানের আত্মীয়দের কয়েকটি বাড়িতেও ভাঙচুর করে আগুন লাগানো হয়। একটি গেঞ্জি কারখানাও পুড়েছে। হাবরা থেকে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এলাকাটি গুমা ২ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। প্রধান সাজাহান মল্লিক বলেন, ‘‘হাইব্রিড মাছ চাষ বেআইনি। এলাকার কাউকে অনুমতি দিই না। জানতে পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এখানে ওই চাষ হচ্ছিল, তা পঞ্চায়েত জানত না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fishary Ashok Nagar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE