প্রতীকী ছবি।
কোথাও প্রকাশ্যে বাজারের মধ্যে, কোথাও আবার রেলস্টেশনের পাশেই আড়ালে চলছে সাট্টা, জুয়া, লোটোর ব্যবসা। সঙ্গে দেদার বেআইনি মদ বিক্রি। উত্তর শহরতলির নিউ ব্যারাকপুর, মধ্যমগ্রাম, বারাসত, দত্তপুকুর থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় এ ভাবেই রমরমিয়ে চলছে জুয়া ও চোলাই মদের কারবার।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছি ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বাজারের গলির পিছনে সকাল থেকে শুরু হয় সাট্টা এবং লোটোর কারবার। ওই গলির চার পাশে আনাজ এবং মাছের বাজার। রয়েছে মুদির দোকানও। অভিযোগ, একটি দোকানঘরের ভিতরে চলে কয়েক লক্ষ টাকার লোটোর ব্যবসা। এলাকার এক দোকানদার জানান, তাঁরা একাধিক বার দত্তপুকুর থানায় এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে বারাসত জেলার পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সুদর্শন দেব। তিনি বলেন, ‘‘দত্তপুকুরের বিভিন্ন জায়গায় রমরমিয়ে চলছে জুয়ার ব্যবসা। থানায় জানিয়ে কাজ না হওয়ায় পুলিশ সুপারকে সব জানিয়েছি।’’
প্রকাশ্যে মদ, জুয়া, সাট্টার প্রতিবাদ করায় ছ’বছর আগে বামনগাছিতে খুন হয়েছিলেন কলেজছাত্র সৌরভ চৌধুরী। ওই ঘটনার পরে স্থানীয়েরা প্রতিবাদে নামায় ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। তার জেরে সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়েছিল জুয়া ও সাট্টার ব্যবসা। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, ফের এলাকায় শুরু হয়েছে এই বেআইনি কারবার। সন্ধ্যা নামলেই বামনগাছি স্টেশন চত্বরে বসে মদ ও জুয়ার আসর। সম্প্রতি ওই এলাকায় রেললাইন থেকে চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়ায় মাথা ফেটে আহত হন এক মহিলা ও তাঁর মেয়ে।
বামনগাছি স্টেশন ছাড়িয়ে একটু এগোলেই দেখা যাবে, দোকানঘরের আড়ালে চলছে লোটো এবং সাট্টা। সেখানে কয়েক জনের জটলা। একই ছবি বারাসত স্টেশনের কারশেড চত্বরেও। সঙ্গে চলছে মদ্যপান। শুধু ওই সব এলাকাই নয়, নিউ ব্যারাকপুর, মধ্যমগ্রাম, দেগঙ্গা, গোলাবাড়ির বিভিন্ন এলাকাতেও এ ভাবে জুয়ার আসর চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে বারাসতের জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে নিয়মিত ধরপাকড় করা হয়। পুলিশি অভিযানও চলে। যে সব এলাকা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, সেখানে তল্লাশি চালিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy