Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

হোয়াটসঅ্যাপে মিলবে খবর, আশা পুলিশের

পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ বেড়েছে। জঙ্গি সংগঠনের লোকজনের চোরাপথে এ দেশে চলে আসাটাও অসম্ভব নয়। এ ছাড়া, সীমান্তবর্তী বনগাঁয় চোরাপথে এ দেশে ঢুকে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা গোপনে আশ্রয় নিয়ে থাকে, এমন প্রমাণ বহুবার মিলেছে।

প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৬:৪০
Share: Save:

পুলিশের ‘চোখ-কান’ বাড়ছে বনগাঁয়। ভরসা, হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ।

যাতে থানার পুলিশ আধিকারিকেরা ছাড়াও থাকছেন বনগাঁর ৪০টি ক্লাবের কয়েক হাজার সদস্য। পুলিশ ছাড়াও অ্যাডমিন থাকছে ক্লাবগুলি। সদস্যদের নম্বর গ্রুপে ঢোকানো হবে। সেই সঙ্গে এলাকার জন প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নম্বরও থাকবে ওই গ্রুপে।

কী ভাবে, কী কাজ করবে গ্রুপ?

বনগাঁর আইসি সতীনাথ চট্টরাজ জানান, কোনও ক্লাব সদস্যের কাছে এলাকার কোনও ঘটনার তথ্য এলে তা তিনি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে লিখে দেবেন। সেই মতো পদক্ষেপ করবে পুলিশ।

এ জন্য তৈরি হয়েছে ‘পুলিশ-ক্লাব সমন্বয় কমিটি।’ বনগাঁ থানার তরফে শনিবার পুরসভার সভাকক্ষে ক্লাব প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে ওই কমিটি তৈরি করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ক্লাব প্রতিনিধিরা ছাড়াও এসেছিলেন বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য, প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ প্রমুখ। শহর এলাকা ছাড়াও গ্রামীণ এলাকার ক্লাবগুলি ও তাদের সদস্যদেরও গ্রুপে সামিল করা হবে।

অনেকেই থানায় সরাসরি আসতে চান না। ভয়ও পান কিছু ক্ষেত্রে। কিন্তু ক্লাব সদস্য এলাকার পরিচিত মুখ হওয়ায় তাঁর সঙ্গে স্থানীয় মানুষের জনসংযোগ ভাল। তাঁকে কোনও ঘটনা জানালে তিনি সেটি গ্রুপে শেয়ার করতে পারবেন।

পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ বেড়েছে। জঙ্গি সংগঠনের লোকজনের চোরাপথে এ দেশে চলে আসাটাও অসম্ভব নয়। এ ছাড়া, সীমান্তবর্তী বনগাঁয় চোরাপথে এ দেশে ঢুকে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা গোপনে আশ্রয় নিয়ে থাকে, এমন প্রমাণ বহুবার মিলেছে। কিছু দিন আগে স্থানীয় বোয়ালদহ এলাকায় এক যুবক খুন হন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই যুবক বাংলাদেশের দুষ্কৃতী ছিল। এখানে এসে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত। জমি কিনে বাড়িঘরও করেছিল। কিন্তু প্রথমে পুলিশের কাছে সেই খবর ছিল না। পুলিশ ও ক্লাব সমন্বয় কমিটি তৈরি হওয়ায় এখন থেকে এলাকায় কোনও অচেনা মানুষ এলে তাঁদের গতিবিধির কথা সহজেই পুলিশ জানতে পারবে বলে মনে করছে পুলিশ। তা ছাড়া, হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে পুলিশ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে নিয়মিত জনসংযোগের কাজও হবে।

দুর্ঘটনায় জখম হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকলেও পুলিশ না যাওয়া পর্যন্ত কেউ তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যায় না। কারণ, আইন-আদালতে জড়িয়ে পড়তে চান না অনেকেই। এখন সহজেই বাসিন্দাদের থেকে এ ধরনের খবর দ্রুত মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইসি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Whatsapp Group Police Infiltration
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE