হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মনোজিৎ। ডান দিকে, তুঁতে মেশানো ক্যাপসুল। ছবি: সুজিত দুয়ারি
ক্যাপসুল থেকে ওষুধ বের করে তার মধ্যে তুঁতে ভরে স্বামীকে খাইয়ে খুনের চেষ্টা করেছিল স্ত্রী—সেই অভিযোগে রবিবার হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল চত্বর থেকে ওই তরুণীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম আলো মণ্ডল। তুঁতে হল কপার সালফেট। মানুষের শরীরে বেশি পরিমাণে গেলে এর বিষক্রিয়ায় ক্ষতি হতে পারে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের বাসিন্দা আলোর সঙ্গে এক বছর আগে বিয়ে হয় হাবড়া থানার গোয়ালবাটি এলাকার মনোজিৎ মণ্ডলের। তিনি সেলাই মিস্ত্রি। বিয়ের পর থেকে নানা কারণে তাঁদের মধ্যে অশান্তি লেগে ছিল।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন দু’য়েক আগে মনোজিৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। শনিবার সকালে আলো স্বামীকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। ওষুধও কিনে আনে সে। বাড়িতে এসে চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ আলো স্বামীকে খাওয়ায়। অভিযোগ, ওষুধ খাওয়ার পর থেকে সে আরও অসুস্থ হয়ে পরে। মনোজিৎ বমি করতে থাকেন। বিকেলে স্ত্রী আবার ওষুধ খাওয়াতে গেলে মনোজিতের বৌদি শুক্লা দেখতে পান ক্যাপসুলের মধ্যে আলো কিছু মেশাচ্ছে। হাতে নাতে ধরা পড়ে সে।
পরিবারের লোকজন মনোজিৎকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করে দেন। তিনি এখন চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনা জানাজানি হতেই প্রতিবেশীরা আলোকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। ওই সময় আলো অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার সকালে আলো সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
হাসপাতালে পুলিশ মনোজিতের বয়ান নথিভুক্ত করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বর্ধমানের এক যুবকের সঙ্গে আলোর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। মনোজিৎ তা জানতে পারে। যা নিয়ে অশান্তি চলছিল। আলোকে বাপের বাড়ি যেতে দিত না স্বামী। এ সবের বদলা নিতেই আলো এমন কাণ্ড করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy