মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া ট্রেড লাইসেন্স দিতে অস্বীকার করায় পঞ্চায়েতের ভারপ্রাপ্ত সচিবকে জুতোপেটা করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক সদস্যের বিরুদ্ধে। বসিরহাট ১ ব্লকের নিমদাঁড়িয়া-কোদালিয়া পঞ্চায়েতে এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং ওই সদস্যের শাস্তির দাবিতে বিডিওর দফতরে বুধবার সকাল ১১টা থেকে বিক্ষোভ দেখান বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে আসা কর্মীরা। এ দিনই ৫৪ জনের সই-সহ একটি স্মারকলিপিও বিডিওকে জমা দেওয়া হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ চলে। পরে বিডিও ওই তৃণমূল সদস্যকে শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিলে পরে বিক্ষোভ বন্ধ হয়।
এ বিষয়ে বিডিও বিপ্লব মণ্ডল বলেন, “সরকারি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি পুলিশকে জানিয়ে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।”
পুলিশ ও পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেলা আড়াইটে নাগাদ ওই পঞ্চায়েতের ভারপ্রাপ্ত সচিব সরিফুল ইসলাম পঞ্চায়েতে কাজ করছিলেন। সে সময়ে পঞ্চায়েত সদস্য আরিজুল ইসলাম ট্রেড লাইসেন্সের আর্জি জানিয়ে এক ব্যক্তিকে সরিফুলের কাছে পাঠান। কিন্তু ট্রেড লাইসেন্স পেতে গেলে যে সব নথির প্রয়োজন, তা না থাকায় সচিব ওই ব্যক্তিকে কাগজপত্র নিয়ে পরে দেখা করতে বলেন। অভিযোগ, এরপরে তৃণমূলের ওই সদস্য ফোন করে ভারপ্রাপ্ত সচিবকে হুমকি দেন। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই আরিজুল পঞ্চায়েত অফিসে এসে হম্বিতম্বি শুরু করেন। আরও অভিযোগ, সরিফুলকে মারধর করে জুতোপেটা করেন আরিজুল।
সারিফুলের কথায়, “কথা বলার সুযোগ না দিয়েই আরিজুল আমার উপরে চড়াও হয়ে মারধর শুরু করেন। প্রধান তাঁর দফতরে নেই, এই অবস্থায় প্রয়োজনীয় নথি ছাড়া আমি লাইসেন্স দিতে পারি না।” সারিফুলের দাবি, জুতোপেটার ঘটনা কেউ জানতে পারলে তাঁকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে আরিজুল বলেন, “আমার ব্যবসার জন্য খুব তাড়াতাড়ি ট্রেড লাইসেন্সের প্রয়োজন। সে কারণে চেয়েছিলাম। কিন্তু সচিব আমার কথার গুরুত্বই দেয়নি। এই কারণে তাঁর সঙ্গে আমার বচসা বাধে। তবে মারধর বা জুতোপেটা করার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।” নিমদাঁড়িয়া-কোদালিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের অশ্রুকণা সরকার বলেন, “প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চেয়ে সচিব কোনও অন্যায় করেননি। আরিজুল যা করেছেন, সেটা ঠিক নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy